দিল্লি বিমানবন্দর থেকে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল যাচ্ছিল রাইপুরে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা পবন খেরা। আর যাত্রাকালে দিল্লি বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর বিমানের সামনে ঘটে গেল চরম নাটকীয় ঘটনা। আচমকাই কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে সেই বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এক এফআইআর-এর জেরে তাঁকে বিমান থেকে নামতে বাধ্য করা হয়। এরপরই দিল্লি বিমানবন্দরে বিজেপির প্রতিনিধি দল ‘বিজেপি হায় হায়’ স্লোগান তোলে।
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসতে থাকে। সেখানে কংগ্রেসের নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, সুপ্রিয়া শ্রীনাতেরা উপস্থিত ছিলেন। সকলেই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। উল্লেখ্য, সদ্য কংগ্রেস নেতা পবন খেরা নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,'নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী ’ নয়, ‘নরেন্দ্র গৌতমদাস মোদী’। উল্লেখ্য, দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গৌতম আদানি গোষ্ঠীর সম্পর্ককে খোঁচা দিয়ে তাঁর এই মন্তব্য উঠে আসে। তারপরই দিল্লি বিমানবন্দরে এমন ঘটনা ঘটে যায়। জানা গিয়েছে, অসম পুলিশের অনুরোধে পবন খেরাকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অসম পুলিশের তরফে অনুরোধ আসতেই তারা পদক্ষেপ করে। এদিকে এই ইস্যুতে কংগ্রেসের সুপ্রিয়া শ্রীনাতে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন বিজেপি সরকারকে। তাঁর প্রশ্ন ‘দেশে কি আইন রয়েছে?’ তিনি জানতে চান,'কার নির্দেশে এমনটা করা হল?'
('স্বরার একবার ওই ফ্রিজটা দেখা উচিত ছিল...', বিয়ে নিয়ে কটাক্ষ সাধ্বী প্রাচীর)
প্রসঙ্গত, আদানি ইস্যুতে বহুদিন ধরেই কংগ্রেসের আক্রমণের মুখে পড়েছে বিজেপি। সদ্য বাজেট অধিবেশনে রাহুল গান্ধী সংসদে তাঁর ভাষণে আদানি ইস্যুতে মোদী শিবিরকে পর পর তোপ দাগেন। পরদিনই তার জবাবে সংসদে ভাষণ দেন নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস থেকে শুরু করে, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী প্রসঙ্গ তুলেও বক্তব্য রাখেন মোদী। এরপর থেকেই যতই উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে ভোট এগোতে থাকে,ততই আদানি ইস্যুতে সরব হয় কংগ্রেস। পাল্টা জবাব আসে বিজেপির তরফেও। তারই মধ্যে, মার্কিন কোটিপতি বিনিয়োগকারী জর্জ সোরোসের মন্তব্য উঠে আসে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে খোঁচা দিয়ে। তারই মধ্যে কংগ্রেসের এই নেতাকে এভাবে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে শোরগোল রাজধানীর রাজনীতিতে।