প্রতি মাসের শেষ রবিবার রেডিওতে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে নিজের 'মনের কথা' বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানের ৯৯টি পর্ব হয়ে গিয়েছে। এই মাসের শেষ রবিবার, অর্থাৎ, ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠানের ১০০তম পর্ব সম্প্রচারিত হওয়ার কথা। তারই আগে সরকারের তরফে জানানো হল যে দেশের ১০০ কোটি মানুষ একবার না একবার হলেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান শুনেছেন। প্রায় ২৩ কোটি মানুষ নিয়মিত 'মন কি বাত' শোনেন বলে দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই নিয়ে আইআইএম রোহতক একটি সমীক্ষা করেছিল। সেই সমীক্ষার ফলই তুলে ধরেন প্রসার ভারতীর সিইও গৌরব দ্বিবেদী। (আরও পড়ুন: অপেক্ষা ২৮ এপ্রিলের, ডিএ নিয়ে বড় খবর পেতে চলেছেন সরকারি কর্মীরা)
মোদীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের ওপর এই সমীক্ষার জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মোট ১০ হাজার ৩ জনের মত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পেশার লোকজনদের থেকে 'মন কি বাত' সম্পর্কে তাদের মতামত জানা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ৯৬ শতাংশ মানুষই জানিয়েছেন যে তাঁরা এই শো সম্পর্কে অবগত। 'স্নোবল স্যাম্পলিং' পদ্ধতিতে ভারতের চার প্রান্ত থেকে মতামত নেওয়া হয়েছে এই সমীক্ষার জন্য। প্রতিটি প্রান্ত থেকেই প্রায় ২৫০০ জনের মত নেওয়া হয়েছে। মোট ৮৬টি পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষের থেকে এই শো সম্পর্কে মত গ্রহণ করা হয়েছে সমীক্ষার জন্য। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশ জন অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। এদিকে ২৩ শতাংশ পড়ুয়া। তাছাড়া সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৯ শতাংশ শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। এদিকে ৪ শতাংশ হলেন গৃহবধূ।
সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, দেশের ২৩ কোটি জনগণ নিয়মিত এই 'মন কি বাত' শো শোনেন বা দেখে থাকেন। এদিকে দেশের ৪১ কোটি মানুষের মধ্যে এই সম্ভাবনা রয়েছে যে তারা নিয়মিত এই শো শুনতে শুরু করবেন। এদিকে যত জন মানুষ এই শো একবার না একবার শুনেছেন, তাঁদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মানুষ হিন্দু ভাষায় তা শুনেছেন। এদিকে ১৮ শতাংশ মানুষ ইংরেজিতে শুনেছেন এই 'মন কি বাত'। এদিকে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪৪.৭ শতাংশ জন জানিয়েছেন, তাঁরা টিভিতেই এই শো দেখেছেন। এদিকে ৩৭.৬ শতাংশ মানুষ শো দেখেছেন মোবাইলে। মাত্র ১৭.৬ শতাংশ মানুষ রেডিওতে শুনেছেন এই শো। এই শোন যাঁরা শুনেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে ৭৩ শতাংশ জানিয়েছেন যে তারা এই শো থেকে সরকারি প্রকল্পের বিষয়ে জেনেছেন এবং তাঁদের বিশ্বাস, দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। শ্রোতাদের মধ্যে ১৯ থেকে ৩৪ বছর বয়সি ৬২ শতাংশ বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়। সমীক্ষায় আরও দাবি করা হয়েছে যে শ্রোতাদের সব থেকে প্রিয় টপিক হল বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতি।