ছত্তিশগড়ের সুকমায় গুলির লড়াইয়ে কমপক্ষে ১০ মাওবাদীকে খতম করা হল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সুকমা জেলার দান্তেওয়াড়া, কোরাজুগুড়া, নগরম এবং ভান্ডারপাদার জঙ্গলে সেই গুলির লড়াই চলেছে। গুলির লড়াইয়ে কমপক্ষে ১০ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। ইনসাস রাইফেল, একে-৪৭ রাইফেল, এসএলআর রাইফেল-সহ অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। আপাতত তল্লাশি (সার্চ অভিযান) চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত মাওবাদীদের চিহ্নিত করা যায়নি।
DRG ও CRPF-র যৌথ অভিযানে খতম মাওবাদী
সেই এনকাউন্টারের বিষয়ে বস্তার রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, ওই এলাকায় মাওবাদীদের গতিবিধি নিয়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানে ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সিআরপিএফের জওয়ানরা। আর সেই গুলির লড়াইয়ে কমপক্ষে ১০ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। যে মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: Rail News: বউকে রেগে ‘ওকে’ বলেছিলেন স্টেশন মাস্টার, সেটা শুনে মালগাড়ি গিয়েছিল মাও এলাকায়, কীভাবে?
মাওবাদীদের উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর, দাবি ছত্তিশগড়ের
আর সেই এনকাউন্টার এমন একটা দিনে হয়েছে, যে ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই মাওবাদী-বিরোধী অভিযান নিয়ে নর্থ ব্লকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন ছত্তিশগড়েক মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। সেই সাক্ষাতের পরে ছত্তিশগড় সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, কীভাবে রাজ্য থেকে মাওবাদীদের উপড়ে ফেলা যায়, সেজন্য কী কী কৌশল নেওয়া হবে, কীভাবে রাজ্যের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করা যায়, কীভাবে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শাহের প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে বদ্ধপরিকর, দাবি ছত্তিশগড়ের
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন যে রাজ্য থেকে মাওবাদীদের উৎখাত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে সরকার এবং সুরক্ষা বাহিনী। সেইসঙ্গে ২০২৬ সালের মধ্যে মাওবাদীদের উৎখাত করার যে ব্রত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেটা পূরণ করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে, মাসকয়েক আগেই শাহ বলেছিলেন, 'উন্নয়ন, শান্তি এবং যুবপ্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় শত্রু হল নকশালবাদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে দেশকে নকশালবাদের হাত থেকে মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর আমরা। সরকারের কঠোর নীতি এবং সুরক্ষা বাহিনীর পরিশ্রমের কারণে আজ নকশালবাদ শুধুমাত্র ছোট একটি জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে হিয়েছে। শীঘ্রই সম্পূর্ণভাবে নকশাল মুক্ত হয়ে যাবে ছত্তিশগড়-সহ পুরো দেশ।’