মহারাষ্ট্রের নাসিকে মৃত্যু হল ভেন্টিলেটরে থাকা কমপক্ষে ২২ জন রোগীর। মৃতদের পরিবারের দাবি, অক্সিজেনের ট্যাঙ্কে লিকের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ভেন্টিলেটর। তার ফলে মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করলেও মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, একটি অক্সিজেনের ট্যাঙ্কে লিকের সঙ্গে মৃত্যুর যোগ থাকতে পারে। ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বুধবার নাসিকে জাকির হোসেন হাসপাতালের ট্যাঙ্কারে অক্সিজেনের ভরতির সময় একটি ট্যাঙ্কে লিক ধরা পড়ে। সেই অক্সিজেনের লিকের ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে চারিদিকে সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে থাকতে দেখা যায়। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, করোনা আক্রান্তদের জন্য সেই হাসপাতাল চালাচ্ছিল নাসিক পুরসভা। যে হাসপাতালে ১৫০ জন রোগী ভরতি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩ জন ভেন্টিলেটরে ছিলেন। নাসিকের ডিভিশনাল কমিশনার রাধাকৃষ্ণ গামে বলেছেন, ‘সকাল ১০ টা নাগাদ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে। অক্সিজেন ট্যাক্সের সকেট বিগড়ে গিয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কয়েকজন রোগীকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।’
ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে যে দাবি করছেন পরিবারের সদস্যরা, সে বিষয়ে সরাসরি মুখ খোলেননি মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে নাসিকের হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে থাকা ১১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যে ট্যাঙ্কে করে ওই রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল, তাতে লিক ধরা পড়ে। অক্সিজেনের জোগান ব্যাহত হওয়ার সঙ্গে ১১ জন রোগীর মৃত্যুর যোগ থাকতে পারে।’ অপর এক মন্ত্রী রাজেন্দ্র শিংগানে। তিনি বলেন, 'এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, আমরা জানতে পেরেছি যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা বিস্তারিত রিপোর্ট পাওয়ার চেষ্টা করছি। যাঁরা এই ঘটনার দায়ী, তাঁদের রেয়াত করা হবে না।'
ঘটনার পর হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নাসিকের পুলিশ কমিশনার জীপক পান্ডে বলেছেন, ‘কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। মর্মান্তিক ঘটনার পর রোগীর আত্মীয়রা অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন।’
ঘটনায় ইতিমধ্যে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়বণীস বলেছেন, 'নাসিকে যা হয়েছে, তা মর্মান্তিক। শুনতে পাচ্ছি যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃসংবাদ। অন্য রোগীদের সাহায্য এবং প্রয়োজনে স্থানান্তরিত করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও দাবি তুলছি।'