আবারও আগুন লাগল গুজরাতের করোনাভাইরাস হাসপাতালে। শুক্রবার মধ্যরাতের পর ভাইরুচের একটি বেসরকারি করোনাভাইরাস হাসপাতালে আগুন লেগে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৮ জন রোগীর। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে তিনি বলেন, 'ভারুচের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় ব্যখিত। পরিবারের প্রতি সমবেদনা।'
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্যাটেল ওয়েলফেয়ার কোভিড হাসপাতালে প্রায় ৫০ জন রোগীর চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ আইসিইউতে আগুন লাগে। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৪ জন রোগী ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা কয়েকজন রোগীকে উদ্ধার করেন। তারইমধ্যে ঘটনাস্থলে আসে দমকল। আরও কয়েকজন উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হয়। এক ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
প্রাথমিকভাবে সংবাদ সংস্থা এএনআইতে ভাইরুচের পুলিশ সুপার রাজেন্দ্রসিহ ছুদাসামা বলেন, ‘কোভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন কমপক্ষে ১২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সকালেই প্রকৃত সংখ্যাটা বলতে পারব।’ সেইসঙ্গে তাঁর আশঙ্কা ছিল যে মৃতের সংখ্যা অবশ্য আরও বাড়তে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। শনিবার সকালে এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, 'সকাল সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত যা খবর, তাতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার পরেই আমাদের কাছে ১২ জনের মৃত্যুর খবর ছিল।'
প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরেই হাসপাতালে আগুন লেগেছিল। তবে প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী কারণে একাধিকবার গুজরাতের বিভিন্ন করোনা হাসপাতালে আগুন লাগছে, তা নিয়ে যথারীতি প্রশ্ন উঠছে।
গত মার্চে ভদোদরা একটি করোনা হাসপাতালে আগুন লেগেছিল। উদ্ধার করা হয়েছিল ২৩ জনকে। তাঁদের ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। সেই ঘটনায় অবশ্য হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। দিনকয়েক আগেই সুরাতের একটি করোনা হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে আগুন লেগেছিল। আধিকারিকরা দাবি করেছিলেন, আগুনে কেউ হতাহত হননি। ১৬ জন রোগীকেই সুরক্ষিতভাবে শহরের অন্যান্য স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। যদিও পরে চারজনের মৃত্যু হয়।