অক্সিজেনের অভাবে এক চিকিৎসক সহ-১২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল দিল্লির বাটরা হাসপাতালে। সকাল সাতটার সময় সতর্ক করেও কোনও লাভ হয়নি। স্বভাবতই আক্ষেপের সুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মুখে, ‘আট জনকে আমরা বাঁচাতে পারলাম না।’
হাসপাতালের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সুধাংশু বাঙ্কাটা বলেন,‘অক্সিজেন না দিতে পারার জন্য আমরা আইসিইউতে ভরতি আটজন (আপাতত ১২ জন) করোনা রোগীকে হারালাম। এই আটজনের মধ্যে আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক ডক্টর বি কে হিমথানিও ছিলেন। আরও যে কত রোগীর এভাবে মৃত্যু হবে জানি না।’ সঙ্গে বলেন, 'এটা আটে থামবে না। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে আপনি ঠিক করতে পারবেন না।' মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার সকাল বাটলা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে আটজন করোনাভাইরাস আক্রান্তের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসক ছিলেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, যে সংস্থার থেকে অক্সিজেন পাওয়ার কথা ছিল, তাদের থেকে অক্সিজেন মেলেনি। সকাল সাতটা নাগাদ তা সরকার-নিযুক্ত আধিকারিকদের জানানো হয়। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। বেলা ১২ টা ১৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতাল পুরোপুরি অক্সিজেনশূন্য হয়ে পড়ে। প্রয়োজনের তুলনায় কম অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল বলেও হাসপাতালের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
যেভাবে একের পর এক রোগীর অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে, তাতে দুঃখপ্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘এভাবে আমরা আমাদের নাগরিকদের মরতে দিতে পারি না। দিল্লিতে যেখানে ৯৭৬ মেট্রিক টন অক্সিজেনের এখন প্রয়োজন, সেখানে শুক্রবার দিল্লিতে এসে পৌঁছেছে মাত্র ৩১২ মেট্রিক টন। কীভাবে দিল্লির মানুষ তাহলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাবে?’