আত্মঘাতী বোমারুর হানায় দামাস্কাসের চার্চে মৃত ২০! সিরিয়ার আঙুল উঠল কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর দিকে?

রবিবার সিরিয়ায় একজন আত্মঘাতী বোমা হামলায় সেখানের এক গির্জার ভিতরে অন্তত পক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই মৃতের সংখ্যা ১৫ হলেও, পরে তা ক্রমেই বাড়তে থাকে। সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই ঘটনায় আঙুল তুলেছে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস-র দিকে। প্রসঙ্গত, সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর এই প্রথম এত বড় মাপের হামলা হল। উল্লেখ্য, গতকাল থেকেই মধ্যপ্রাচ্য সরগরম রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলা নিয়ে। গোটা আমেরিকা, তার বিশ্বব্যাপী নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ার বুকে এই হামলা ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে।

প্রাথমিকবাবে জানা গিয়েছে, এই হামলার দায় কোনও সংগঠন স্বীকার করেনি। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা কর্তৃক সম্পাদিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দামেস্কের ডোয়াইলা এলাকার সেন্ট ইলিয়াস গির্জায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ৫২ জন আহত হয়েছে।’রবিবার তাৎক্ষণিকভাবে কোনও গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি, তবে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একজন সদস্য এই হামলার পেছনে জড়িত। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের মতে, দামেস্কের উপকণ্ঠে ডোয়াইলাতে মার ইলিয়াস গির্জার ভেতরে প্রার্থনারত লোকজনের উপস্থিতিতে বিস্ফোরণটি ঘটে। এই হামলার টার্গেটে মূলত কোনও প্রার্থনারত জনতাই ছিল। আর ধর্মীয় স্থলের অন্দরে এই হামলায় ওই প্রার্থনারত মানুষদের মৃত্যু হয়। এই হামলা জঙ্গি হামলা বলেই মনে করছে সিরিয়া।

( দণ্ডনায়ক শনিদেব ও বুধ আনছেন সমসপ্তক যোগ! লাভের অঙ্ক ঢুকবে কোন কোন রাশির ঝুলিতে?)

দায়েশ (আইএস) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত একজন আত্মঘাতী হামলাকারী সেন্ট ইলিয়াস গির্জায় প্রবেশ করে... গুলি চালায়, তারপর বিস্ফোরক বেল্ট দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়, একথা দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী হামজা মোস্তফা এই হামলার নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন,'এই কাপুরুষোচিত কাজটি আমাদের একত্রিত করে এমন নাগরিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।' তিনি বলেন,'আমরা সমান নাগরিকত্বের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার থেকে পিছপা হব না ... এবং আমরা অপরাধমূলক সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এবং সমাজকে তার নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ সকল আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রের সমস্ত প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রতিশ্রুতিও নিশ্চিত করি।' প্রত্যক্ষদর্শী লরেন্স মামারি, যিনি চার্চের ভিতরে ছিলেন, এএফপিকে বলেন যে ‘বাইরে থেকে কেউ অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে’ এবং গুলি চালাতে শুরু করে। তিনি আরও বলেন যে, অনেকেই এই আত্মঘাতী বোমারুকে ‘আত্মহত্যা করার আগে তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিল।’

(এই প্রতিবেদন এআই জেনারেটেড)