ছত্তিশগড়ে ২২ জন মাওবাদীকে খতম করার জন্য সুরক্ষা বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, যে মাওবাদীরা আত্মসমর্পণ করছে না, সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসছে না, তাদের বিরুদ্ধে ‘রুথলেস’ মনোভাব (নির্মম মনোভাব) নিয়ে এগিয়ে যাবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর ৩৭৫ দিন পরে (২০২৬ সালের ৩১ মার্চ) ভারতে নকশালদের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না বলেও হুংকার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নকশালমুক্ত ভারত অভিযানের লক্ষ্যে আজ আমাদের জওয়ানরা আরও একটা বড় সাফল্য অর্জন করলেন। ছত্তিশগড়ের বিজাপুর এবং কাঙ্কেরে আমাদের সুরক্ষা বাহিনীর দুটি পৃথক অপারেশনে (অভিযান) ২২ জন নকশালকে খতম করা হয়েছে।'
৩১ মার্চের আগে নকশালমুক্ত হবে ভারত, হুংকার শাহের
সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'একেবারে রুথলেস (নির্মম) মনোভাব নিয়ে নকশালদের বিরুদ্ধে এগিয়ে চলেছে (নরেন্দ্র মোদী) সরকার। যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সত্ত্বেও যে নকশালরা আত্মসমর্পণ করছে না, তাদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হচ্ছে। আগামী বছর ৩১ মার্চের আগে নকশালমুক্ত হয়ে যাবে ভারত।’
দুই পৃথক এনকাউন্টারে খতম ২২ মাওবাদী
আর তিনি সেই মন্তব্য করেছেন, ছত্তিশগড়ে দুটি পৃথক এনকাউন্টারে ২২ জন মাওবাদী মৃৃত্যুর পরে। সেই ঘটনায় সুরক্ষা বাহিনীর এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। বিজাপুর যে গুলির লড়াই চলছে, তাতে নিকেশ করা হয়েছে ১৮ জন মাওবাদীকে। আর কাঙ্কেরে আরও চারজন মাওবাদীকে খতম করে দেওয়া হয়েছে। দু'জায়গায় এখনও অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
উদ্ধার করা হয়েছে মাওবাদীদের দেহ, উদ্ধার অস্ত্র
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ছত্তিশগড়ের গাঙ্গালুর থানা এলাকায় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর দল মোতায়েন করা হয়। যা ছত্তিশগড়ের বিজাপুর এবং দান্তেওয়াড়া জেলার সীমান্তের কাছে অবস্থিত। সেখানে এখনও গুলির লড়াই চলছে। মাওবাদীদের দেহ খোঁজা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ওই এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Chhattisgarh Encounter: ছত্তিশগড় জুড়ে পৃথক এনকাউন্টারে নিহত ২২ মাওবাদী, শহিদ ১ জওয়ান
সেই এনকাউন্টারের মধ্যেই কাঙ্কেরে গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার যৌথ অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেইসময় কাঙ্কের-নারায়ণপুর সীমান্তের কাছে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। কাঙ্কেরের পুলিশ সুপার ইন্দিরা কল্যাণ এলেসেলা জানিয়েছেন, এখনও গুলির লড়াই চলছে। এখনও পর্যন্ত চারজনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি অটোমেটিক রাইফেল।