করোনা সংক্রমণে জর্জরিত হয়েও ভারতে সন্ত্রাসবাদী ঢুকিয়ে দিতে নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে পাকিস্তান। প্রতিদিনই পাক সীমান্ত সংলগ্ন ১৪টি ঘাঁটিতে ভিড় বাড়ছে পাক সন্ত্রাসবাদীদের।
রবিবার হিন্দুস্তান টাইমস-কে এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে খবর এসেছে যে, বিভিন্ন পাক আশ্রিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রায় ৪৫০ জন জঙ্গি এই সমস্ত ঘাঁটিতে জড়ো হয়েছে।’
এর আগে হিন্দদুস্তান টাইমস-এর রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ভারতে ২৩০ জন সন্ত্রাসবাদী ঢোকানোর চেষ্টায় রয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু গত ২-৩ সপ্তাহে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ঘাঁটিতে জমা হওয়া সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার ২৪৪ জন, জইশ-ই-মহম্মদের ১২৯ জন এবং হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর ৬০ জন সন্ত্রাসবাদী। এছাড়া রয়েছে আল-বদরের মতো ছোটখাটো সংগঠনের কয়েক জন সদস্যও।
দিল্লির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান দফতর প্রাপ্ত সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ১৬টি সন্ত্রাসবাদী শিবিরের মধ্যে ১১টি সক্রিয় রয়েছে অধিকৃত কাশ্মীর অঞ্চলে, ২টি পাক পঞ্জাবে এবং তিনটি খাইবাবার-পাখতুনওয়া অঞ্চলে।
গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, পাকিস্তানের ১১টি সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ শিবিরে বিভিন্ন সংগঠনে সদ্য যোগ দেওয়া সদস্যদের তালিম দেওয়া হয়। তিনটি অন্য শিবির রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার এবং একটি শিবির রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের।
চলতি বছরে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী উপস্থিতি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদে ইন্ধন জোগাচ্ছে এই সংস্থা।
ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরে বর্তমানে প্রায় ২৪০ জন সন্ত্রাসবাদী রয়েছে। তাদের মধ্যে ১০০ জন বিদেশি নাগরিক।