জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হাইতি। রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হল একাধিক বহুতল। ইতিমধ্যে ২৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা।
শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) জোরালো কম্পন অনুভূত হয় দক্ষিণ-পশ্চিম হাইতিতে। তারপর একের পর এক ‘আফটারশক’ কেঁপে উঠতে থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রাজধানী পোর্ত-অউ-প্রিন্সের পশ্চিমে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২।
সেই ভূকম্পের জেরে রীতিমতো ধুলোয় মিশে যায় একাধিক বহুতল। অনেকেই সেই ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে যান। কিছুক্ষণের জন্য উপকূলীয় শহর লে কায়েসের হুড়মুড়িয়ে জল ঢুকতে থাকে। তার জেরে সুনামির আশঙ্কা তৈরি হয়। কিছুক্ষণ পর অবশ্য জল নামতে থাকে। প্রাথমিকভাবে সুনামির সতর্কতাও জারি করেছিল মার্কিন সুনামি সংস্থা। পরে তা তুলে নেওয়া হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের আশঙ্কা, ভূমিকম্পের জেরে প্রাণহানির সংখ্যা বেশি হবে। বিপর্যয় সর্বাত্মক হবে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লে কায়েসের একটি জনপ্রিয় হোটেল এবং একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েছে। হাইতির নাগরিক সুরক্ষা এজেন্সির প্রধান জেরি চ্যান্ডলার জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তারইমধ্যে রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ২০১০ সালে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, তার তুলনায় এবার কম্পনের মাত্রা বেশি। কিন্তু ১১ বছরের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের তুলনায় এবার ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কম হতে পারে। ২০১০ সালে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল হাইতির একাংশ। যে ভূমিকম্পের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনই আমেরিকার অন্যতম গরিব দেশ।