কাকভোরে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা জয়পুরে। ট্রাকের সঙ্গে গ্যাস ভর্তি ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। তারফলে আগুন ধরে যায় পাশে থাকা পেট্রোল পাম্পে। আশেপাশের কমপক্ষে ৪০টি গাড়িতে আগুন লেগে যায়। ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও, আহত হয়েছেন ৪১ জন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ভাংক্রোটা এলাকায় জয়পুর-আজমের মহাসড়কে। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। তিনি হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করে উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলের উপর দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন! দুঃসাধ্য সাধন করলেন এই জেলে
জানা যাচ্ছে, এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। সিএনজি ভর্তি ট্যাঙ্কারটি পেট্রোল পাম্পের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় রাসায়নিক ভর্তি একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মারে। তার জেরে আগুন লেগে যায়। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি গাড়িতে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। ঘটনায় ট্যাঙ্কারে আগুন লেগে যায়। সেই সঙ্গে পেট্রোল পাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আগুনের গ্রাসে চলে আসে ৪০টি গাড়ি। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে পেট্রোল পাম্প সহ গাড়িগুলি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা একে একে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে প্রথমের দিকে গাড়িগুলির কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি দমকল। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় এসএমএস হাসপাতালে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। তিনি আহতদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তাদের সর্বোত্তম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
ভাংক্রোটার এসএইচও মনীশ গুপ্ত বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন ছিল। দমকল কর্মীরা আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়িগুলির কাছে পৌঁছতে পারেননি। তবে ওই এলাকায় আরও তিনটি পেট্রোল পাম্প ছিল। কিন্তু, সেগুলি নিরাপদ রয়েছে। ঘটনাস্থলে ২৫টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত নিয়ে যায়। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। তারফলে যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে লিখেছেন, ‘জয়পুর-আজমের জাতীয় সড়কে গ্যাস ট্যাঙ্কারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় দুঃখজনক। খবর শুনে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। ঘটনার তথ্য পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে আমি এসএমএস হাসপাতালে গিয়েছিলাম এবং চিকিৎসকদের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। মৃতদের পরিবারকে আমি সমবেদনা জানায়।’ জয়পুরের জেলা শাসক জিতেন্দ্র সোনি জানিয়েছেন, ঘটনায় ৪১ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, সবমিলিয়ে প্রায় ৪০টি গাড়িতে আগুন লাগে। উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।