হরিয়ানার নুহতে বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হল কমপক্ষে নয়জনের। আহত হয়েছেন অনেকে। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩ জন। তাঁদের নুহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল-সহ অন্যান্য হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যা খবর মিলেছে, তাতে বৃন্দাবন থেকে বাসে করে ফিরছিলেন একদল যাত্রী। শুক্রবার গভীর রাতে নুহের কাছে কুন্ডলি-মানেসর-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে ওই বাসে আগুন ধরে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একাধিক ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা গিয়েছে যে রাস্তার মধ্যে দাউদাউ করে জ্বলছে একটি বাস। পুরো বাসকে গিলে নেয় আগুন। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বৃন্দাবন থেকে ফিরছিলেন পুণ্যার্থীরা
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবন থেকে চণ্ডীগড়ে ফিরছিলেন পুণ্যার্থীরা। বাসে প্রায় ৬০ জন ছিলেন। তাঁরা সকলেই পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর, লুধিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা। গত সপ্তাহে বৃন্দাবনে ঘোরার পরে শুক্রবার তাঁরা ফিরছিলেন। রাত দুটো ৩০ মিনিট ধুলাওয়াত টোলপ্লাজার কাছে বাসে আগুন ধরে যায়।
নুহের পুলিশ সুপার নরেন্দর বিজরনিয়া জানিয়েছেন যে বাসে আগুন লাগার খবর পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তার এক ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ন'জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে কী কারণে বাসে আগুন লেগে যায়, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাসে আগুন লাগানো হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আতঙ্কে আহত যাত্রী
মীনা রাই নামে আহত এক যাত্রী বলেছেন, 'আমরা বৃন্দাবন থেকে ফিরছিলাম। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমরা বুঝতে পারিনি। ভাগ্য ভালো যে কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক দেখেন যে বাসে আগুন লেগেছে। তাঁরা বাসের সামনে মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে কাচ ভাঙেন। আমাদের চালক তো কাচ ভেঙে পালিয়ে গিয়েছিলেন। যিনি আমাদের বাঁচিয়েছিলেন, তিনি বাসের মধ্যে মারা গিয়েছেন। মোট ১০ জন মারা গিয়েছেন। বাসে মোট ৬৪ জন ছিলেন।'