মাওদমন অভিযানে নেমে আবারও একবার বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। তাদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হল অন্তত আট মাওবাদী (শেষ পাওয়া খবর অনুসারে)। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে। এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনা জানতে পারে সংবাদমাধ্যম।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এই গুলির লড়াই শুরু হয়। ঘটনাস্থল ছিল, বিজাপুর জেলার গঙ্গালুর থানা এলাকার অন্তর্গত একটি জঙ্গল। এদিন সকালে ওই এলাকায় যৌথ অভিযান চালাচ্ছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেই সময়েই মাওবাদীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে জড়িয়ে পড়েন বাহিনীর সদস্যরা।
বাস্তার রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইজি) সুন্দরাজ পি এই মাওদমন অভিযান সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। সেই অনুসারে, এদিনের এই অভিযানে যে সমস্ত বাহিনীর সদস্যরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের মধ্য়ে ছিল - ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ), সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং অত্যাধুনিক কোবরা (কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ন ফর রেজোলিউট অ্য়াকশন) বাহিনী।
আইজি জানান, 'এই মাওদমন অভিযান আসলে শুরু করা হয়েছিল শুক্রবার। আমাদের কাছে গোয়েন্দা সূত্রে নির্দিষ্ট কিছু খবর এসে পৌঁছেছিল। আমরা জানতে পেরেছিলাম, মাওবাদীদের পশ্চিম বাস্তার শাখার সদস্যরা এই এলাকায় থাকতে পারেন।' এই গোপন তথ্যের ভিত্তিতেই মাওদমন অভিযান চালানো হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এই অভিযান ও গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত অন্তত আটজন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। তবে, হতাহতের সংখ্য়া পরে পরিবর্তিত হতে পারে।
আইজি জানিয়েছেন, শেষ খবর পাওয়া অনুসারে, ওই এলাকায় মাওদমন অভিযান এখনও চলছে। তাই যতক্ষণ না অভিযান শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত হতাহতের চূড়ান্ত সংখ্যা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।
সর্বশেষ এই আট মাওবাদীর মৃত্যুর বিষয়টি যোগ করলে, হিসাব বলছে, চলতি বছর ইতিমধ্য়েই ছত্তিশগড়ে ৪৮ জন মাওবাদীকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। একাধিক অভিযানে তাদের নিকেশ করেছেন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।
গত ১৬ জানুয়ারি বিজাপুর জেলাতেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়ায় মাওবাদীরা। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, সেই ঘটনায় ১২ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও পরে মাওবাদীদের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করা হয়, ১৬ জানুয়ারির এনকাউন্টারে তাদের ১৮ জন ক্য়াডারের প্রাণ গিয়েছে।
গত বছর ছত্তিশগড়ে একাধিক ঘটনায় মোট ২১৯ জন মাওবাদীকে নিকেশ করেন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।