আবারও পথ দুর্ঘটনা, আবারও মর্মান্তিক মৃত্যু। উত্তরপ্রদেশের লখনউ-আগরা এক্সপ্রেসওয়ের উপর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাতে এখনও পর্যন্ত অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন একটি ডাবল ডেকার স্লিপার বাস লখনউ-আগরা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাচ্ছিল। লখনউ থেকে আসা ওই বাসটির গন্তব্য ছিল দিল্লি। কিন্তু, গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হঠাৎ করেই নিয়ন্ত্রণ হারান ওই বাসের চালক এবং পিছন থেকে একটি ওয়াটার ট্যাঙ্কার - জল সরবরাহকারী গাড়িকে ধাক্কা মারেন।
তথ্য বলছে, যখন এই দুর্ঘটনা যখন ঘটে, তখন ওই বাসে প্রায় ৫০ জন যাত্রী সওয়ার ছিলেন। সৌরিখ ও সাকরাওয়া এলাকার মাঝামাঝি ১৪১ কিলোমিটার ফলকের কাছাকাছি এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে পুলিশ সুপার অমিত কুমার আনন্দ জানান, 'ওই বাসটি পিছন থেকে একটি ওয়াটার ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মেরেছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই আশপাশের একাধিক থানা থেকে পুলিশের কর্মী ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। একাধিক হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রের তরফ থেকে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ'জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা নিশ্চিত। আহতদের মধ্যে ১৭ জনকে সাইফাই মেডিক্যাল ইউভার্সিটিতে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।'
যদিও স্থানীয় সূত্র মারফত জানিয়ে গিয়েছে, এদিনের এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের সকলকেই কোনও না কোনও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং মৃতের সংখ্যাও পরবর্তীতে বেড়ে হয়েছে আট।
এদিকে, ওই দুর্ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ পরই সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বতন্ত্র দেব সিং। দুর্ঘটনা দেখে তিনি তাঁর কনভয় থামান। নিজে নেমে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেন।
যাঁরা সেই সময় দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ করছিলেন, মন্ত্রীও তাঁদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে যান। দুর্ঘটনাস্থল থেকে যাতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর ও কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পাঠানো যায়, সেই প্রক্রিয়ায় সাহায্যও করেন স্বতন্ত্র দেব সিং।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে এই লখনউ-আগরা এক্সপ্রেসওয়েতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল পাঁচজন চিকিৎসকের। বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল চিকিৎসকদের এসইউভি-টি।
সেই দুর্ঘটনার প্রকোপ এতটাই জোরদার ছিল যে চিকিৎসাকদের গাড়িটি ডিভাইডার টপকে অন্যদিকের লেনে ঢুকে যায়। সেই সময়, সেই লেনে উলটো দিক থেকে একটি ট্রাক আসছিল। চিকিৎসকদের গাড়িটি সেই ট্রাকে ধাক্কা মেরে তার সঙ্গে আটকে যায়। সেদিনের দুর্ঘটনাটি ঘটে তির্বা ১৯৬ পয়েন্টের কাছে।