উৎসবের মরশুম কাটতে না কাটতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা! বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ চলাকালীন ঘটল অঘটন! ঘটনাস্থলে কংক্রিটের স্তূপের নীচে অন্তত তিনজন শ্রমিক আটকে পড়েন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
পরবর্তীতে খবর আসে, এই ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে তিনজন শ্রমিকের।
মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আনন্দে। জানা গিয়েছে, গুজরাটের আনন্দে মাহি নদীর কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর পক্ষ থেকে এই ঘটনার যে ভিডিয়ো তাদের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ঘটনাস্থলে বিরাট আকারের কংক্রিটের স্ল্যাব একটার উপর আর একটা - এভাবে স্তূপের আকারে পড়ে রয়েছে।
কোনও মানুষের পক্ষেই ওই বিরাট ধ্বংস্তূপ সারনো সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই রেলের কর্মী ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য আর্থ মুভার ও ক্রেনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
'ন্য়াশনাল হাই-স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড' (এনএইচএসআরসিএল)-এর এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে ইতিমধ্য়েই এক শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে জানা যায়, ঘটনায় তিন শ্রমিকের মৃত্যুও হয়েছে।
ঘটনার পরই সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সংশ্লিষ্ট এনএইচএসআরসিএল আধিকারিক জানিয়েছিলেন, 'মাহি নদীর তীরে নির্মাণকাজ চলছিল। সেখানে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে। আজ (৫ নভেম্বর, ২০২৪) সন্ধেবেলা সেখানে হমড়ি খেয়ে পড়া কংক্রিটের ব্লকের মধ্যে তিনজন শ্রমিক আটকে পড়েন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। সেখানে ক্রেন ও আর্থ মুভার আনা হয়েছে। একজন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, মুম্বই-আহমেদাবাদ রুটের আওতায় একটি ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বুলেট ট্রেন করিডর গড়ে তোলা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থলটিও সেই প্রকল্পেরই অন্তর্ভুক্ত।
সংশ্লিষ্ট বুলেট ট্রেন প্রকল্পের মাধ্যমে গুজরাটের ৩৫২ কিলোমিটার এবং মহারাষ্ট্রের ১৫৬ কিলোমিটার রেলপথ যুক্ত করা হবে। এই রুটে সব মিলিয়ে মোট ১২টি স্টেশন থাকবে।
এই স্টেশনগুলির মধ্যে রয়েছে - মুম্বই, থানে, ভিরার, বোইসার, ভাপী, সুরাট, ভারুচ, ভদোদরা, আহমেদাবাদ প্রভৃতি।
তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দাবি, এই রুটে বুলেট ট্রেন চলাচল শুরু করলে দুই রাজ্য়ের মধ্যে যাতায়াতের সময় বহুলাংশেই কমে যাবে। বর্তমানে যেখানে এই গোটা রুটে একদিকের যাত্রা সম্পূর্ণ করতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগে, বুলেট ট্রেন চালু হলে তা কমে হয়ে যাবে মাত্র ৩ ঘণ্টার সফর।