গত সপ্তাহে নাগপুরের একটি পশু উদ্ধার কেন্দ্রে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩টি বাঘ এবং ১টি চিতাবাঘের। এনিয়ে আগেই মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। এনিয়ে দেশব্যাপী চিড়িয়াখানাগুলিকে কেন্দ্র সরকারের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। চিড়িয়াখানাগুলিকে ভাইরাসের প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিকল্পনা অনুসরণ করতে বলেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: একদিনে ১৫ কিমি… বাঘিনী জিনাতের পিছু নিয়ে পুরুলিয়ার সীমানায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন এবং দুগ্ধজাত মন্ত্রকের অধীনে কেন্দ্রীয় পশুপালন ও দুগ্ধজাত বিভাগ এই সতর্কতা জারি করেছে।গত ৩ জানুয়ারি জারি করা এই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, যে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাল রোগ। যার মধ্যে জিনেটিক প্রভাব রয়েছে। চিড়িয়াখানার কোনও প্রাণীর মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনও উপসর্গ ধরা পড়লেও তৎপরতার সঙ্গে পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এনিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে এবং আশেপাশের অঞ্চলে এই রোগে কোনও প্রাণী আক্রান্ত হচ্ছে কি না সেবিষয়ে খোঁজ খবর নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ৩ টি বাঘ ও একটি চিতাবাঘকে চন্দ্রপুর থেকে নাগপুরের গোরেওয়াদা পশু উদ্ধার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপরে তাদের মধ্যে অসুস্থতার লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। চিকিৎসা সত্ত্বেও গত ৩০ ডিসেম্বর প্রাণীগুলি মারা যায়। এরপরেই তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেগুলি পাঠানো হয়েছিল ভোপালের আইসিএআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই-সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজেসে পাঠানো হয়েছিল। গত ১ জানুয়ারি তাদের রিপোর্টে জানা যায় পশুগুলি H5N1 ভাইরাসে আক্রান্ত।
উল্লেখ্য, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বার্ড ফ্লু নামেও পরিচিত। এটি একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাল রোগ, যা প্রাথমিকভাবে হাঁস-মুরগি এবং বন্য পাখিদের প্রভাবিত করে। তবে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যেও সংক্রমণ হতে পারে। আমেরিকার ভেটেরিনারি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, গৃহপালিত পশুর পাশাপাশি বাঘ এবং সিংহ সহ বিড়াল অন্যান্য বিড়াল জাতীয় পশুদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। এই প্রাণীদের ভাইরাসের সংস্পর্শে না আসার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
গোরেওয়াদা উদ্ধার কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বিষয়টি সামনে আসতেই তারা কন্টেনমেন্ট প্রোটোকল মেনে চলছে। বাঘ, সিংহ বা অন্যান্য পশুদের থাকার জায়গা জীবাণুমুক্ত করার পাশা পাশি ফায়ার ব্লোয়ার দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে। এছাড়াও, দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মীরাও পিপিই কিট ব্যবহার করছেন।