প্রয়াগরাজ থেকে কলকাতার দিকে আসছিল তীর্থযাত্রী বোঝাই বাস। আর সেই বাসেই পাথর ছুঁড়ে কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিহারের ঔরঙ্গাবাদের কাছে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে চলে হামলা। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন বিহারের ঔরঙ্গাবাদের কাছে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে পাথর ছোঁড়া হয়েছে।
দিলীপ ঘোষ এই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। তবে তার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে শ্য়ামলী পরিবহণের একটি বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার কাঁচ ভাঙা রয়েছে। একজন বলছেন শ্য়ামলী পরিবহণের বাস। প্রয়াগরাজ থেকে আসছিল। আচমকা ইট বৃষ্টি হয়। জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। কলকাতার দিকে বাসটি আসছিল। সাতারা পার হওয়ার পরে বাস লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। ঝোপের ওপার থেকে পাথর ছোঁড়ে। সাতারা পার হওয়ার পরেই বাসের পাথর ছোঁড়ে। বাসের কর্মীরা বাস দাঁড় করিয়ে মেরামত করার চেষ্টা করেন।
দিলীপ ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, কিছু ভারত বিরোধী শক্তি মহাকুম্ভের এই হিন্দু জমায়েতকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা সফল হবেন না। লিখেছেন দিলীপ ঘোষ।
এদিকে বিগত দিনে বন্দে ভারতের ট্রেনে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা শোনা গিয়েছিল। বার বারই একই ঘটনা হয়েছিল। এবার তীর্থ যাত্রী বোঝাই বাসে পাথর ছোঁড়া হল। কলকাতার দিকে আসছিল বাসটি। সেই সময় হামলা। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে কি না সেটা উল্লেখ করা নেই। তবে গোটা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
এদিকে কুম্ভের তীর্থযাত্রী বোঝাই একাধিক ট্রেনের কাঁচ ভেঙে দেওয়ার ভিডিয়ো সম্প্রতি সামনে এসেছে। তবে এবার আবার কলকাতাগামী বাসে হামলার অভিযোগ। কারা রয়েছে এর পেছনে? সেই প্রশ্নটা এবার বড় করে উঠছে।
এদিকে কুম্ভের তীর্থযাত্রীদের ভিড় আছড়ে পড়ছে স্টেশনেও।সম্প্রতি বিহারের গয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা অতিরিক্ত ভিড়ের প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করে এবং ট্রেনের দরজা বন্ধ করে দেন। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন, কেউ কেউ ট্রেনের দরজায় উঠে লোকো পাইলটসহ রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন যাত্রীরা দেখেন ট্রেনের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় বেশি মানুষ উঠতে পারছেন না। মহাকুম্ভের ভিড়ের মধ্যে হাজার হাজার টিকিটবিহীন যাত্রী স্টেশনে ভিড় করছেন, কিছু যাত্রী আরও ভিড় এড়াতে ট্রেনের দরজা আটকে দেন বলে খবর।