বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের উচ্ছেদের পর থেকেই একের পর এক হিন্দু মন্দির ও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের খবর আসতে শুরু করেছে। এরই মাঝে এক ভিডিয়ো (। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োটি গোরক্ষক দক্ষ চৌধুরীর। যে দক্ষ চৌধুরীর বিরুদ্ধে কানহাইয়া কুমারকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ ছিল। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন হাতে লাঠি নিয়ে মারধর করছেন বেশ কয়েকজনকে। ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিয়ো আপলোড করে দাবি করা হয়েছে সেটি দিল্লির।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, হাতে লাঠই নিয়ে ৫ থেকে ৬ জন আবর্জনার স্তূপের ওপর শুয়ে থাকা কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করছেন। ঘটনা রাতের বেলা ঘটেছে। তাঁদের মারধর করতে করতে অকথ্য গালিগালাজ করা হচ্ছে। সঙ্গে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে চলে যেতে। এই ভিডিয়ো শেয়ার করে কদক্ষ চৌধুরী বলছেন, 'যা করেছি তাতে কোনও আফসোস নেই।' তাঁর দাবি, সরকার চুপ রয়েছে, বলিউড চুপ রয়েছে, তাই তিনি এসবের শুরু করলেন এতে তিনি জেল গেলেও তাঁর আফসোস নেই। তিনি জানাচ্ছেন এই মেসেজ তাঁর শেষ মেসেজ কিনাও তিনি জানেন না। তবে তাঁর আর কোনও ভয় নেই বলে মেসেজে দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ পুড়েছে বিক্ষোভের আগুনে। সেখানে কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে সরকারের উচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায় ছাত্রদের বিক্ষোভ। এরপর সোমবারই সেদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসেন ভারতে। এদিকে, হাসিনা দেশ ছাড়তেই বহু সংখ্যালঘু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে খবর। বহু মন্দির, বাড়ি সেদেশে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, দক্ষ চৌধুরীর ভিডিয়ো বলা হচ্ছে, ‘যা করেছি তাতে কোনও আফসোস নেই। কারণ বাংলাদেশে যে বোনোদের ধর্শণ করা হচ্ছে, যে হিন্দুদের মারা হচ্ছে, যে মন্দির ভাঙা হচ্ছে তা আমাদের। তাঁরা প্রত্যেক ভারতীয়ের। কেন তাঁদের মারা হয়েছে, কেন তাঁদের ধর্ষণ হয়েছে, কারণ তারা হিন্দু।’ একইসঙ্গে তিনি বলছেন, 'বিপক্ষ চুপ, বলিউড চুপ, … আমি শুরু করে দিয়েছি, বাকি ভারতের যুব ও যুবকদের সংগঠনগুলি.. আপানারা জানেন যে কী করণীয়। এই দেশে রোহিঙ্গা মুসলিমরা থাকবেন না। সরকার অসমর্থ আণরা নই। এফ আইআর হয়েছে, গ্রেফতারিও হবে, জেলও যেতে হলে আর কোনও ভয় নেই।…'