ট্রেন লাইনচ্যুত করার উদ্দেশ্যে ফের রেললাইনের উপর কাঠের গুঁড়ি রাখার অভিযোগ উঠল। সোমবার ভোররাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা গাজীপুর সিটি স্টেশন ও ঘাট স্টেশনের মাঝামাঝি রাজদেপুরের নতুন সবজি মান্ডির কাছে রেল লাইনে কাঠের গুঁড়ি রেখে দেয় বলে অভিযোগ। তার ফলে স্বতন্ত্র সেনানি সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন কাঠের গুঁড়িতে ধাক্কা মারে। এরফলে ইঞ্জিনের একটি পাইপ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তবে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। পরে মেরামতির পর ট্রেনটি প্রায় ২.৫ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে।
আরও পড়ুন: ফের রেল দুর্ঘটনা দেশে, আলো ফুটতে না ফুটতেই লাইনচ্যুত এক্সপ্রেস ট্রেনের ২টি কামরা
জানা গিয়েছে, ঘটনা সময় ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার। কাঠের গুঁড়িতে ধাক্কা মারার পর চালক জরুরি ব্রেক কষেন। তবে ট্রেনের গতি বেশি থাকায় প্রায় ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে ট্রেন থামে। পরে রেলের একজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে । ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, যে ১২৫৬১ স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেস বিহারের জয়নগর থেকে নয়াদিল্লি যাচ্ছিল। ট্রেনটি সিটি স্টেশনে পৌঁছনোর আগে এই ঘটনা ঘটে। ট্রেনের ইঞ্জিনের পাইপ ফেটে যায়। ঘটনায় ট্রেন চালক কন্ট্রোল রুমকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গেই আরপিএফ, জিআরপি, কোতোয়ালি পুলিশের একটি দল এবং বারাণসীর সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার এস রামকৃষ্ণান ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তারফলে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। পরে আউরিহার স্টেশন থেকে একটি নতুন ইঞ্জিন আনা হয়। তারপরে ট্রেনটি প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
পুলিশ সুপার (সিটি) জ্ঞানেন্দ্র নাথ প্রসাদও বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রেল লাইনে কাঠ কে বা কারা রেখেছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এসপি জানান, সিটি স্টেশন ও ঘাট স্টেশনের মধ্যে রেলপথে প্রায় দু ফুট লম্বা একটি কাঠের গুঁড়ি রাখা ছিল। তিনি জানান, একই এলাকায় এটি দ্বিতীয় ঘটনা। গত ১০ সেপ্টেম্বর তিন রেল লাইনে পাথর রেখেছিল এবং প্রয়াগরাজ - বালিয়াযাত্রীদের উপর পাথর ছুঁড়েছিল। পরের দিনই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর সোমবার ফের এই ধরনের ঘটনা ঘটল।