আশি মিনিটের ভিডিয়ো আর ২৪ পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট- বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তিবিদের মৃত্যুর ঘটনায় যত তথ্য সামনে আসছে, তত নড়ে যাচ্ছে দেশ।ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় অতুল সুভাষ নামে ওই তথ্যপ্রযুক্তিবিদের (আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স ইঞ্জিনিয়ার) স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, শাশুড়ি নিশা-সহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে সবথেকে বেশি রোষের মুখে পড়েছেন অতুলের স্ত্রী নিকিতা। এমনকী নিকিতার উপরে রোষের ঢেউ আছড়ে পড়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা অ্যাকসেনচারের উপরেও। যে সংস্থায় নিকিতা কাজ করেন বলে দাবি করা হয়েছে। নেটিজেনরা দাবি তুলেছেন যে অবিলম্বে তাঁকে অ্যাকসেনচার থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া উচিত। এমনকী সংস্থার নাম খারাপ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করারও দাবি তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। আর সেই আবহেই এক্সে অ্যাকসেনচারের তরফে নিজেদের অ্যাকাউন্ট ‘লক’ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হল। যদিও বিষয়টি নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি নিকিতা বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
আত্মহত্যার পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত তালিকা তৈরি
কিন্তু সুইসাইড ভিডিয়োয় অতুল যে যে অভিযোগ করেছেন, তাতে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত্যুর পরে যে যে জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে আত্মহত্যা করেছেন অতুল। আত্মহত্যার আগে কী কী করবেন, কবে কী কাজ করবেন, সেটার তালিকা তৈরি করে বেঙ্গালুরুর বাড়িতে দেওয়ালে আটকে রাখা ছিল। সঙ্গে একটি পৃষ্ঠায় লেখা ছিল, 'ন্যায়বিচার বাকি আছে।'
বিচারক ৫ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন, দাবি অতুলের
প্রায় দেড় ঘণ্টার যে ভিডিয়ো করেছেন, সেটাও শিউরে ওঠার মতো। ওই ভিডিয়োয় অতুল অভিযোগ করেছেন, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ মিথ্যে অভিযোগ করেছিলেন নিকিতা। প্রতি মাসে দু'লাখ টাকা খোরপোষ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের এক বিচারকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন অতুল। তিনি অভিযোগ করেন, বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন বিচারক।
'আত্মহত্যা করছো না কেন, শুনতে হয়েছিল স্ত্রী'র থেকে', দাবি অতুলের
অতুল অভিযোগ করেন, একটা সময় নিকিতা তাঁকে বলেছিলেন যে কেন আত্মহত্যা করছেন না ৩৪ বছরের ইঞ্জিনিয়ার। আর সেই কথা শুনে বিচারকও হেসেছিলেন। আর নিকিতাকে আদালতকক্ষ ছেড়ে যেতে বলেছিলেন। তারপর একই কথা বলেছিলেন তাঁর শাশুড়ি। পরবর্তীতে যখন শাশুড়িকে প্রশ্ন করেছিলেন যে তিনি আত্মহত্যা করলে খোরপোষ কে দেবেন, টাকা কে মেটাবেন। তখন শাশুড়ি বলেছিলেন যে অতুলের পরিবারের থেকে টাকা আদায় করবেন। আর তাঁদের আদালতের চক্কর কাটিয়ে ছাড়বেন।
(হেল্পলাইন নম্বর: ওয়ালাইফ ফাউন্ডেশন - ৭৮৯৩০৭৮৯৩০)