বাড়ির গ্যারেজে দাঁড়িয়ে দামি বিএমডব্লিউ, এসি রুম ছেড়ে বেরোতে মন চায় না, অর্থাৎ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক তাঁরা। তা সত্ত্বেও, দরিদ্রের জন্য বরাদ্দ সরকারি পেনশনেও ভাগ বসাতে ছাড়েন না এই ধনী ব্যক্তিরা। সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন সুবিধাভোগীদের নিয়ে একটি পর্যালোচনায়, কেরালার অর্থ বিভাগের সামনে এসেছে এমনই বিস্ফোরক তথ্য।
সরকারি সূত্রে খবর, কেরালায় গেজেটেড অফিসার এবং কলেজের অধ্যাপক সহ প্রায় ১,৫০০ জন্য সরকারি কর্মচারী জালিয়াতি করে সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন হস্তগত করেছেন। মালাপ্পুরম জেলার কোট্টক্কল পৌরসভা থেকে সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন পেয়েছেন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী লোকেরা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাটি ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Biriyani boycott: বাংলাদেশিদের তৈরি বিরিয়ানি বয়কটের ডাক সনাতনীদের, সভা শেষেই বিলি হল বিরিয়ানি)
অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরো সত্য টেনে বের করে আনার জন্য, গোটা রাজ্যে একটি অডিট করা হবে। উদ্দেশ্য হল সুবিধাভোগী তালিকা থেকে সমস্ত অযোগ্য ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া। আরও জানা গিয়েছে, সমস্ত স্থানীয় সংস্থাগুলিকে নিয়মিতভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেনশনের পরিমাণ পেয়ে থাকা সুবিধাভোগীদের যোগ্যতা মূল্যায়ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা দরিদ্রদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা পেনশন স্কিমে এই জাতীয় ধনী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, সেই সমস্ত আধিকারিকদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী কে এন বালাগোপাল কোট্টক্কাল।
আরও পড়ুন: (হরিদ্বারের গঙ্গার জল পানের পক্ষে নিরাপদ নয়, সাফ জানিয়ে দিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ)
ভিজিল্যান্স ও দুর্নীতি দমন ব্যুরো তদন্ত করেছে
উল্লেখ্য, কেরালার এলডিএফ সরকার সম্প্রতি মালাপ্পুরমের কোট্টক্কাল পৌরসভার কর্মকর্তাদের ভিজিল্যান্স বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কারণে, এর আগে জেলা অর্থ বিভাগের একটি অডিটে দেখা গিয়েছে যে ৭ নং ওয়ার্ডের ৪২ জনের মধ্যে ৩৮ জন পেনশন গ্রহণের যোগ্য নয়। পেনশনভোগীদের একজন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ইনফরমেশন কেরালা মিশনের এর আগে আরও জানতে পেরেছিল যে ১,৪৫৮ জন সরকারি কর্মচারী ভুলভাবে সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৬০ লক্ষ পেনশনভোগীর রয়েছেন কেরালায়। সরকার এই প্রত্যেক যোগ্য সুবিধাভোগীকে মাসে মাসে ১,৬০০ টাকা করে দিতে প্রতি মাসে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় করে।