সিকিমে তুষারধসে মৃত্যু হল ছয় পর্যটকের। সিকিমের সরকারি আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নাথুলা বর্ডারের কাছে তুষারধস হয়। তার জেরে ছয় পর্যটকের মত্যু হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। কমপক্ষে ৮০ জন পর্যটক বরফের পুরু আস্তরণের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার বেলা ১২ টা ২০ মিনিট নাগাদ জওহরলাল নেহরু রোডের ১৫ মাইলে তুষারধস হয়। যে রাস্তা গ্যাংটকের সঙ্গে নাথুলাকে যুক্ত করেছে। স্থানীয় সেনা হাসপাতালে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং এক মহিলা আছেন। এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনও তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।
সিকিম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে পুলিশ, ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ সিকিম, পর্যটন দফতর। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন গাড়িচালকরাও। উদ্ধার নেমেছে ভারতীয় সেনাও। তারইমধ্যে বরফের তলায় আটকে পড়া ৩০ জনকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। তঁদের গ্যাংটকের এসটিএনএম হাসপাতাল এবং সেন্ট্রাল রেফারেল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
ভারত-চিন সীমান্তে অবস্থিত নাথুলা পাস পর্যটকদের কাছে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা। নৈসর্গিক দৃশ্যের জন্য প্রচুর মানুষ সেখানে আসেন। কিন্তু অতিরিক্ত তুষারের কারণে অনেকেই নাথুলা পাসে যেতে পারেন না। সিকিম পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (চেকপোস্ট) সোনম তেনজিং ভুটিয়া বলেছেন, '১৩ মাইল পর্যন্ত যাওয়ার জন্য অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই ১৫ মাইলে চলে যাচ্ছিলেন পর্যটকরা। আর সেই ১৫ মাইলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।'
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)