এবার দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন রেখা গুপ্তা। বয়স কত জানেন? তবে তার আগে এটা বলাই যায় যে বিজেপি শাসিত রাজ্যে যে মুখ্য়মন্ত্রীরা রয়েছেন তাঁদের গড় বয়স ৫৫।
এবার দেখে নেওয়া যাক বিজেপি শাসিত রাজ্যে যে মুখ্য়মন্ত্রীরা রয়েছেন তাঁদের বয়স, কার কত? অরুণাচল প্রদেশের পেমা খান্ডুর বয়স ৪৫। অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বয়স ৫৬। ছত্তিশগড়ের মুখ্য়মন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের বয়স ৬০ বছর। দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসলেন রেখা গুপ্তা। তাঁর বয়স ৫০ বছর।
গোয়ার প্রমোদ সাওয়ান্তের বয়স ৫১ বছর। গুজরাটের ভূপেন্দ্র পটেলের বয়স ৬২ বছর। হরিয়ানার নায়েব সিং সাইনির বয়স ৫৫ বছর। মধ্য়প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী মোহন যাদবের বয়স ৫৯ বছর। মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বয়স ৫৪ বছর। ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির বয়স ৫৩ বছর। রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রী ভজন লাল শর্মার বয়স ৫৮ বছর। ত্রিপুরার সিএম মানিক সাহা। তাঁর বয়স ৭২ বছর। উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বয়স ৫২ বছর। উত্তরাখণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী পুস্কর সিং ধামির বয়স ৪৯ বছর।
সেদিক থেকে বলতে গেলে সবথেকে কম বয়সি বিজেপির সিএম হলেন অরুণাচল প্রদেশের পেমা খান্ডুর বয়স ৪৫। বয়সের দিক থেকে এগিয়ে ত্রিপুরার সিএম মানিক সাহা। তাঁর বয়স ৭২ বছর।
এদিকে এবার দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে কে বসবেন তা নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল। অনেকে ভেবেছিলেন হয়তো পরবেশ হবেন । কিন্তু দিল্লিতে বড় চমক দিল বিজেপি। রেখা গুপ্তাকে বেছে নেওয়া হল দিল্লির সিএম হিসাবে।
দিল্লিতে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে রেখা গুপ্তার নাম প্রস্তাব করেন পরবেশ বর্মা। উল্লেখ্য, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে পরবেশ হারিয়েছিলেন আপের অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। অনেকেই মনে করেছিল, পরবেশই হতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পরবেশ আগাগোড়াই রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবাও ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে দিল্লির রাশ বিজেপি রাখল এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই। সুষমা স্বরাজের পর ফের এক মহিলাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নিল বিজেপি।
রেখা ১৯৯২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দৌলত রাম কলেজে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) দিয়ে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন। ১৯৯৬-৯৭ সালে, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের (ডিইউএসইউ) সভাপতি হন, যেখানে তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্র-সম্পর্কিত বিষয়গুলি উত্থাপন করেছিলেন।
২০০৭ সালে উত্তর পিতমপুরা থেকে কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তিনি গ্রন্থাগার, পার্ক এবং সুইমিং পুলের মতো জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে কাজ করেছিলেন।
২০১২ সালে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন এবং পরে দক্ষিণ দিল্লি পৌর কর্পোরেশনের (এসডিএমসি) মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।