বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > তথ্য না জেনেবুঝে কৃষি বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য দায়িত্ববানের কাজ নয়, নাম না করে রিহানাদের বার্তা কেন্দ্রের

তথ্য না জেনেবুঝে কৃষি বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য দায়িত্ববানের কাজ নয়, নাম না করে রিহানাদের বার্তা কেন্দ্রের

গাজিপুর সীমান্তে ব্যারিকেড। (ছবি সৌজন্য ব্লুমবার্গ)

পালটা দুটি ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে - '#IndiaTogether' (ভারত একত্রিত) এবং '#IndiaAgainstPropaganda' (কুপ্রচারের বিরুদ্ধে ভারত)।

কৃষি বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুলেছেন রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গের মতো সেলিব্রিটিরা। তার জেরে আন্তর্জাতিক মহলে অস্বস্তিতে পড়ে যায় ভারত। তারপর তড়িঘড়ি বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র জানাল, তথ্য ঘেঁটে কৃষি বিক্ষোভের বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার পরই মন্তব্য করা উচিত। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার চমকপ্রদ ট্যাগ এবং কমেন্টের প্রলোভনে সেলিব্রিটি-সহ অন্যান্যরা যে ব্যবহার করছেন, তা সঠিক বা দায়িত্ববান নয়।

বুধবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কৃষিক্ষেত্রের সংস্কারের লক্ষ্যে 'পূর্ণ বিতর্ক এবং আলোচনার' পর সংসদে তিনটি কৃষি আইন পাশ করেছে। কিন্তু তা নিয়ে 'কৃষকদের একটি ছোটো অংশের' আপত্তি আছে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। তিনটি আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা সত্ত্বেও কয়েকটি 'স্বার্থন্বেষী' সংগঠন কৃষক বিক্ষোভের উপর নিজেদের ধ্যান-ধারণা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেইসঙ্গে আন্দোলনকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার প্রমাণ মিলেছে প্রজাতন্ত্র দিবসে হিংসার ঘটনায়। একইসঙ্গে সাউথ ব্লকের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের বিরুদ্ধে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন সেই 'স্বার্থন্বেষী' সংগঠনের লোকজন। সেই প্ররোচনায় পা দিয়ে কিছু সমাজবিরোধী লোক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাঙচুর করেছেন। যা ভারত তো বটেই, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের সভ্য সমাজের কাছে অত্যন্ত বিরক্তিকর ঘটনা। 

গত বছরের শেষ থেকে কৃৃষক আন্দোলন শুরু হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। কৃষকদের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে তো চাপ তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও মন্তব্য আসতে থাকে। কিন্তু রিহানা এবং থুনবার্গের মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক মহলের আরও বেশি নজর কেড়েছে কৃষক বিক্ষোভ। মঙ্গলবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রিহানা ভারতের কৃষক বিক্ষোভ সংক্রান্ত সিএনএন-এর খবরের একটি লিঙ্ক টুইটারে পোস্ট করেন। সেখানে লেখা রয়েছে, ভারতের রাজধানী দিল্লির একাধিক অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথা, লেখা রয়েছে ২৬ জানুয়ারি বিশ্বের সর্ববৃহত গণতন্ত্রের প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলিশ ও বিক্ষুদ্ধ কৃষকদের খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতির কথা। সঙ্গে প্রশ্ন করেন, ‘কেন আমরা এই বিষয়ে (ভারতের কৃষি আন্দোলন) কথা বলছি না?’ একইভাবে সিএনএনের সেই প্রতিবেদন শেয়ার করে টুইটারে পরিবেশবিদ থুনবার্গ লেখেন, ‘ভারতে কৃষক বিক্ষোভের পাশে আছি আমরা।’ 

রিহানা এবং থুনবার্গের মন্তব্যের পর তার জেরে স্বভাবতই আন্তর্জাতিক মহলে অস্বস্তিতে পড়ে ভারত। তারপরই তড়িঘড়ি আসরে নামে বিদেশ মন্ত্রক। সরাসরি রিহানাদের নাম না করলেও সেলিব্রিটেদের দায়িত্ববান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সাউথ ব্লক। সেই সঙ্গে পালটা দুটি ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে - '#IndiaTogether' (ভারত একত্রিত) এবং '#IndiaAgainstPropaganda' (কুপ্রচারের বিরুদ্ধে ভারত)।

বন্ধ করুন