শেখ হাসিনার দলের বিরুদ্ধে ফের ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে। এই আবে বিগত দু'দিন ধরে দেশের ৩৫টি জেলায় আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গুঁড়িয়ে ফেলা হয়েছে। সরকার এই সব ক্ষেত্রে জনতাকে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে প্রতিহত করেনি। এদিকে আওয়ামি লিগকেও এখনও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তবে এবার কি হাসিনার দল নিষিদ্ধ হবে? এই প্রশ্নের জবাব দিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। (আরও পড়ুন: চরম অরাজকতায় ঘরে বাইরে চাপ, এরই মাঝে ইউনুসের মুখে 'নির্বাচন')
আরও পড়ুন: মোদীকে 'শয়তান' আখ্যা হাফিজ পুত্র তালহার, বলল- 'কাশ্মীর পাকিস্তানের হবে'
আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একরোখা মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যেকোনও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল, যে বা যারাই হই না কেন, আমরা এ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করি। ফলে, ৫ অগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই। বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াও ৪টি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যে কোনও দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে, এটার আইনি ফ্রেমওয়ার্ক কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।' (আরও পড়ুন: দত্তবাবুকে ৫০০ কোটি, আর ভাই জিমিকে কত দিয়ে গেছেন রতন টাটা? জানলে অবাক হতে পারেন)
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্রের ওপর বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ ইস্যুতে কী করছে সরকার? মন্ত্রী বললেন…
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা ধানমন্ডিতে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে হাসিনা বিরোধী জনতা। এরই সঙ্গে বাংলাদেশ জুড়ে আওয়ামি লিগ নেতাদের বাড়ি বা সম্পত্তিতে হামলা শুরু হয়েছে। এই হিংসার আগুন ছড়িয়েছে বালাদেশের আরও অন্তত ৩৫টি জেলায়। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভোলা, গাজীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালি, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, খুলনা, কুষ্টিয়া, বরিশালে আওয়ামি লিগের বহু নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর, হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালির কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। ভোলায় আওয়ামি লিগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ তোফায়েল আহমেদের বাসভবনেও ভাঙচুর করা হয় এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের বাবা তথা জামালপুর জেলা আওয়ামি লিগের উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রাক্তন সদস্য মহাম্মদ আলির বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আওয়ামি লিগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিমের বনানীর ফ্ল্যাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।