পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে শহরকে। তবেই মিলবে পুরস্কার। প্ৰতিটি বছর নতুন নতুন শহরকে সুযোগ দেওয়া হবে। একই শহর বার বার পুরস্কার পাবে না। ইন্দোর বা সুরাট, যেমন বছরের পর বছর ধরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার খাতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে, তা সত্ত্বেও এখন সেরা পরিষ্কার শহরের পুরস্কার পাবে না এই দুই শহর।
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর জানিয়েছেন ইন্দোর, যা টানা সাত বছর ধরে শীর্ষ শহর ছিল, এখন 'গোল্ডেন সিটি ক্লাব' নামে একটি বিশেষ বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে। পরের বছর, একটি নতুন শহরকে ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর হিসাবে স্বীকৃত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। স্বচ্ছতা সার্ভেতে ইন্দোর হোক বা সুরাট কেউই প্রথম স্থান পাবে না।
আরও পড়ুন: (Hidden Camera in Ladies Toilet: মহিলা কর্মীদের শৌচালয়ে গোপন ক্যামেরা বসিয়েছিলেন চিকিৎসক! ধরা পড়লেন হাতেনাতে)
স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। দুই সপ্তাহের জন্য স্বভাব স্বচ্ছতা সংস্কার স্বচ্ছতা (৪এস) ক্যাম্পেন বা প্রচার অভিযান লঞ্চ করা হয়েছে এদিন। এই ইভেন্টে এসেই, নগরমন্ত্রীর দাবি, যদি কোনও শহর আর 'গোল্ডেন সিটি ক্লাব' ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত না হয়, অর্থাৎ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার খাতে, এটি আর সেরা পারফম্যান্স না করে, তাহলে এটিকে আবার অন্যান্য শহরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এইভাবে প্রতি বছর, একটি নতুন শহর সেরা পারফরমার হয়ে উঠবে। উল্লেখ্য, স্বভাব স্বচ্ছতা সংস্কার স্বচ্ছতা (৪এস) ক্যাম্পেন শুরু হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে, ১৭ সেপ্টেম্বর। শেষ হবে মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে, অর্থাৎ ২ অক্টোবর।
কী কাজ করা হবে এই প্রচার অভিযানের মাধ্যমে
স্বচ্ছতার এই প্রচার অভিযানে, কেন্দ্রীয় সরকার, বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে। শহর ও গ্রাম মিলিয়ে ২০০,০০০ নোংরা বা অবহেলিত এলাকাগুলিকে উন্নত করে তোলার দিকে নজর দেবে। ক্লিনলিনেস টার্গেট ইউনিটস (সিটিইউ) নামে পরিচিত এই এলাকাগুলোকে, একটি অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করে ট্র্যাক ও পর্যবেক্ষণ করা হবে।
কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলির পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টর ইউনিট, বেসরকারী সংস্থাগুলি এবং এনজিওগুলিকেও ক্লিনলিনেস টার্গেট ইউনিট (সিটিইউ) এর যত্ন নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হবে।
আরও পড়ুন: (আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা ভারতের! মিশন মৌসম আনছে সরকার)
প্রচারাভিযান দু' টি প্রধান ক্ষেত্রে ফোকাস করবে
১) জনসাধারণকে রাস্তাঘাটে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন করা। যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে, আশেপাশের এলাকা যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে, সেদিকে নজর রাখতে উৎসাহিত করা।
২) রাস্তাঘাটের আবর্জনা পরিস্কার ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে, স্যানিটেশন কর্মীদের নিরাপত্তা, কল্যাণ এবং স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার উপরও ফোকাস করবে।
মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছেন যে শহরগুলিতে প্রায় ২,৩০০ ডাম্পসাইট রয়েছে। এখানে ২২ কোটি মেট্রিক টন বর্জ্য জমে রয়েছে। এর মধ্যে ৯ কোটি মেট্রিক টন বর্জ্য সহ ৫২৭টি ডাম্পসাইট পরিষ্কার করা হয়েছে এবং ৪,৫০০ একর জমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।