ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি-র নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা ছিল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের এক শাখায়। তবে সময় মতো সেই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করতে পারেনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। আর এই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর টাকার বেআইনি লেনদেনও হয়েছে বিগত দিনে। এই আবহে ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তরফ থেকে ১.৬৬ কোটি টাকা জরিমানা করা হল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ককে। এই নিয়ে ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সংক্ষিপ্ত আদেশে বলা হয়েছে, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের এক ম্যানেজার এই লেনদেনের ক্ষেত্রে বড় মাপের জালিয়াতি ও দুর্নীতি কেলেঙ্কারির অংশ ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। (আরও পড়ুন: 'হিমশৈলের চূড়া', নিট তদন্তে সামনে এল নয়া তথ্য, সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে না NTA)
রিপোর্ট অনুযায়ী, আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে মোট ১ কোটি ৬৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। আধিকারিকরা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ঘটনাটি ২০২১ সালে ঘটেছিল। হরিয়ানার গুরুগ্রামের এক শাখায় এনএসজি-র নামে এই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বিগত কয়েক বছর ধরে এই মামলার তদন্ত করছিল। এই মামলার তদন্তে নেমে গত বছর এক এনএসজি অফিসার এবং তাঁর বোনের ৪৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এই এনএসজি অফিসারের বোন অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে এই গোটা জালিয়াতি শনাক্ত করার জন্য কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা না থাকার কারণেই অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ককে মোটা টাকার জরিমানা করল ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এদিকে সন্দেহনক লেনদেন নিয়ে সময় মতো রিপোর্ট না করার অভিযোগ উঠেছে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। এদিকে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে কোনও রকমের পরীক্ষা চালানো হয়নি বলেও অভিযোগ অ্যাক্সিসের বিরুদ্ধে। এই আবহে আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইন লঙ্ঘন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এদিকে 'শক্তিশালী লেনদেন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা' বাস্তবায়নের প্রমাণ দিয়ে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ককে।
এর আগে অন্য এক ক্ষেত্রে গতবছর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার-র তরফে প্রায় ৯১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ককে। সেই সময় ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে একাধিক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করার অভিযোগ করেছিল আরবিআই। কেওয়াইসি সংক্রান্ত নির্দেশিকার ক্ষেত্রে অনেকগুলি নিয়ম সঠিকভাবে মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল অ্যাক্সিসের বিরুদ্ধে। এই আবহে দেশের অন্যতম বড় বেসরকারি ব্যাঙ্ককে ৯০ লাখ ৯২ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল।