বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অযোধ্যার পুরা কালান্দার থানার অন্তর্গত পাগলা ভারি গ্রামে একটি বাড়ি ধসে পড়ল বিস্ফোরণে। এই ঘটনার জেরে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশ দেন তিনি।
অযোধ্যার এসএসপি গৌরব গ্রোভার জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে যে বাড়িটি ধ্বংস হয়েছে, তার মালিক হলেন স্থানীয় বাসিন্দা পাপ্পু গুপ্ত। তিনি বলেন, 'বিস্ফোরণের পর রান্নাঘরের বাসনপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। আমরা ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করছি।' তিনি আরও বলেন, আশেপাশের গ্রাম ও খোলা মাঠে তল্লাশি অভিযান চলছে। অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশের দলগুলি পাশের ফসলের ক্ষেতেও তল্লাশি চালাচ্ছিল। এদিকে ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে 'আর্থ মুভিং ভেহিকল' আনানো হয়। সেই মেশিনের সাহায্যে ঘটনাস্থল থেকে ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বসংস্তূপ সরানো হয় রাতে। এই উদ্ধারকাজের জন্য ঘটনাস্থলে আলাদা করে আলো জ্বালানো হয়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিখিল টিকারাম ফান্ডে বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এই ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। ফান্ডে বলেন, একটি ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করছে। তিনি বলেন, নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি এবং আহতদের সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
সার্কেল অফিসার (সিও) শৈলেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং উদ্ধার অভিযান চলছে। তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলেছে এবং লোকজনকে আশেপাশের বাড়িঘর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত জারি আছে এই ঘটনায়। পরে স্থানীয় আধিকারিকরা দাবি করেন, বাজি বা সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। তবে কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফরেন্সিক পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষা করার কথা বলেন তাঁরা।