এবার সুপ্রিম কোর্টের তাৎপর্যপূর্ণ রায়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা কতটা করতে পারবেন, কতটা করতে পারবেন. এমবিবিএসের সঙ্গে তাদের ফারাকটা কোথায় সেটাই কার্যত দেখিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এর আগে গুজরাট হাইকোর্ট আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের এমবিবিএস চিকিৎসকদের মতোই একই সমগোত্রীয় বলে কার্যত উল্লেখ করেছিল। তবে গুজরাট হাইকোর্টের এই রায়কে কার্যত খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি ভি রামাসুভ্রমণিয়ম ও পঙ্কজ মিথাল জানিয়েছেন, এটা বলা যাবে না যে দুটি ক্য়াটাগরি একই কাজ করবেন ও একই বেতন পাবেন।
অ্য়ালোপ্যাথি চিকিৎসকদের এমার্জেন্সি ডিউটি করতে হয়। তাদের ট্রমা কেয়ারে থাকতে হয়। তারা আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যা অনুসারে কাজ করেন। যে এমার্জেন্সি ডিউটি তারা করেন, যে ট্রমা কেয়ারের কাজ তারা করেন সেটা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা করতে পারেন না। জটিল অপারেশনে সার্জেনদের সহায়তা করাটা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু এমবিবিএস চিকিৎসকরা এটা পারেন। সেই নির্দেশে এটা উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছে, তাদের বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা ইতিহাসে গর্বের বিষয় হতে পারে কিন্তু তারা অপারেশনে সহায়তা করতে পারেন না। নির্দেশে বলা হয়েছে ওপিডিতে শয়ে শয়ে রোগীকে দেখেন এমবিবিএস চিকিৎসকরা।কিন্তু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে এটা হয় না। আয়ুর্বেদিক চিকিৎকরা যে এমবিবিএসের মতো একই বেতন পাবেন না সেটাই জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত থাকা চিকিৎসক ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎকদের মধ্য়ে ফারাক বোঝাতে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা জটিল অপারেশন করতে পারেন না। তাদের সেই জটিল অপারেশনের অনুমতিও নেই।
এমনকী পোস্ট মর্টেম করা, ম্যাজেস্টেরিয়াল তদন্ত করার কোনও দায়িত্বও তাদের উপর নেই। আদালত জানিয়েছে, আয়ুষ চিকিৎসকরা মনে হয় ময়নাতদন্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নন। আসলে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের একটা অর্ডার ছিল সেখানে বলা হয়েছিল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এমবিবিএস চিকিৎসকদের মতোই একই সুবিধা পাবেন। তবে তার বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল গুজরাট সরকার।