শেষমেশ মহিলাদের পোশাক ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্যের পর ক্ষমা চাইলেন বাবা রামদেব। উল্লেখ্য, দিল্লির মহিলা কমিশনের তরফে স্বাতী মালিওয়াল তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলার পর, মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের তরফে নোটিস যেতেই ক্ষমা চেয়ে নোটিসের উত্তর দেন বাবা রামদেব।। তারপরই ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেন বাবা রামদেব।
ঘটনার সূত্রপাত মহারাষ্ট্রের থানেতে। সেখানে বাবা রামদেব একটি যোগশিবিরে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর পাশেই বসেছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের স্ত্রী অমৃতা। সেই সময়ে শিবিরে আসা মহিলাদের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাবা রামদেব বলেন, ‘আপনাদের শাড়িতেও ভালো লাগে, অমৃতাজির মতো আপনাদের সালওয়াল স্যুটেও ভালো লাগে, আর আমার মতো কিছু না পরে থাকা অবস্থাতেও ভালো লাগে।’ ওই অনুষ্ঠানে বহু মহিলা শাড়ি নিয়ে এলেও, তা না পরা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাবা রামদেব ওই মন্তব্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি বিরোধী সমস্ত দল থেকে এর প্রতিবাদ করা হয়। দিল্লির মহিলা কমিশন, মহারাষ্ট্রের মহিলা কমিশন ক্ষমা চাওয়ার দাবি করে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে টুইট করেন কটাক্ষের সুরে। এরপরই আসে বাবা রামদেবের ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গ।
এদিকে, মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশন এই বিষয়ে বাবা রামদেবকে নোটিস পাঠায়। সেখানে বলা হয়েছে, তিনদিনের মধ্যে যেন বাবা রামদেব এই মন্তব্য ইস্যুে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তারপরই মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের তরফে চেয়ারপার্সন রূপালী চাকানকার জানান, বাবা রামদেব এই ইস্যুতে ক্ষমা চেয়েছেন। আর তার নথি মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের হাতে এসে পৌঁছেছে। এদিকে, এই ইস্যুতে আগেই সরব হয়েছিল মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ক্যাম্প। দলের তরফে সঞ্জয় রাউত প্রশ্ন তোলেন অমডতা ফড়নবীশের নীরবতা নিয়ে। এই পর্বের পর শেষমেশ আসে বাবা রামদেবের ক্ষমা চেয়ে প্রকাশিত নথি।