২৮ বছরের অপেক্ষা শেষ। অবশেষে এল বাবরি ধ্বংস মামলার রায়। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি সহ একদা শীর্ষ বিজেপি নেতারা।সবাইকেই বেকসুর মুক্ত করল বিশেষ সিবিআই আদালত।
খুশি প্রকাশ আডবানির
ভিডিও বার্তায় লালকৃষ্ণ আডবানি বলেছেন যে এই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাঁদের কাছে খুশির খবর। রায় শোনার পর তিনি জয় শ্রী রাম বলে ওঠেন বলে জানান প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী। আরেক বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর যোশী যিনি ছাড়া পেয়েছেন আদালতের রায়ে, তিনি নিজের খুশি ব্যক্ত করেছেন।
সত্যমেূূ জয়তে
যোগী খুশি সবাই খালাস পাওয়ায়। তাঁর অভিযোগ তৎকালীন সরকার মিথ্যে মামলা করেছিল বিজেপি ও ভিএইচপি নেতাদের বিরুদ্ধে।
রায়ে সন্তুষ্ট আবেদনকারী
মামলার আবেদনকারী ইকবাল আনসারি জানিয়েছেন যে তিনি রায়ে সন্তুষ্ট। তাঁর কথায়, এটি ভালো যে মামলা শেষ হয়ে গিয়েছে। সবাই এবার শান্তিতে থাকুক। ভবিষ্যতে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেটা দেখা উচিত। অযোধ্যায় হিন্দুু-মুসলমান সর্বদা শান্তিতে থেকেছে বলে তিনি জানান।
শেষ হল আইনি লড়াই
আইনজীবী কেকে মিশ্র যিনি ৩২ জনের মধ্যে ২৫ জনের সওয়াল করছিলেন, তিনি জানান যে সবাইকে নির্দোষী বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ঘটনা নিয়ে যে লম্বা আইনি লড়াই চলছিল, তার এদিন সমাপ্তি ঘটল বলে তিনি জানান।
নির্দোষী সব অভিযুক্ত
লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী সহ সব অভিযুক্তকে বেকসুর ছাড়া দিয়ে দিলেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছেন বিচারক। যারা মসজিদের চূড়োয় উঠেছিল, অভিযুক্তরা তাদের আটকানোর চেষ্টা কর বলে রায়ে জানিয়েছেন বিচারক।
মসজিদ ধ্বংস পূর্বপরিকল্পিত নয়
বিচারক বলেন যে বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্বপরিকল্পিত নয়। আচমকাই এই ঘটনা ঘটে।
আদালত কক্ষে বিচারক
বিচারক এসকে যাদব এসে গিয়েছেন আদালতকক্ষে। ভিডিও কনফারেন্সে রায় শুনবেন আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতীরা।
উপস্থিত ২৬ অভিযুক্ত
৩২-এর মধ্যে ২৬ জন অভিযুক্ত উপস্থিত আদালতে। কোভিডের কারণে আসতে পারেননি উমা ভারতী, কল্যান সিং ও নৃত্যগোপাল। আসেননি আডবানি, মুরলী মনোহর যোশীও। যে কোনও মুহূর্তে রায়দান করবেন বিচারক।
উপস্থিত অভিযুক্ত সাক্ষী মহারাজ
দৈব কাজ!
মসজিদ ভাঙা দৈব কাজ, বলছেন অভিযুক্ত আচার্য ধর্মেন্দ্র। আরেক অভিযুক্ত বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ার জানিয়েছেন, তাঁরা অনেক দূরে স্টেজে ছিলেন। মসজিদ ভাঙা নিয়ে কিছু দায় নেই তাঁদের, বলে দাবি কাটিয়ারের।
ষড়যন্ত্র করি না, ষড়যন্ত্র শেষ করি
সাধবী রিতাম্ভরা বাবরি ধ্বংসে কোনও ষড়যন্ত্র নেই বলে জানাালেন। অন্যতম অভিযুক্তের কথায়, তাঁরা ষড়যন্ত্র করেন না, ষড়যন্ত্র শেষ করেন।
ভেঙেছি মসজিদ, মেনে নিচ্ছেন অনেক অভিযুক্ত
রায়দানের আগে আদালতে উপস্থিত অনেক অভিযুক্ত। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মেনে নিচ্ছেন যে তারা মসজিদ ভেঙেছেন। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বেদান্তি বলছেন যে ভগবান রামের জন্য ফাঁসিতে যেতেও তিনি রাজি। তৎকালীন শিব সেনার উত্তর ভারতের প্রধান ভগবান গোয়েল বলেন যে তিনি মসজিদ ধ্বংসে নিজের দায় স্বীকার করছেন
১০,১৬১ দিন পরে মামলার রায়
৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়। তারপর সরযূ নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। সেই স্থানে রাম মন্দির তৈরীর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেদিন যেই দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল মসজিদ ধ্বংসের কাজে লিপ্ত থাকার, আজ তারাই রাজ্য ও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন। আজকের রায় কি ফের বদলে দেবে ভারতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতি, সেদিকেই থাকবে নজর।