আগরতলায় তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়র সভামঞ্চের কাছেই ভেসে উঠল বাবুলের গাওয়া একটি গান। ‘এই তৃণমূল আর না’। তৃণমূলের সভামঞ্চের কাছেই বাবুলের এই গানটি বাজতে অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল শিবির। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে হয় বাবুলকেই। সভামঞ্চ থেকেই বাবুল জানান, ‘ভেবে দেখুন, নেতারা কত অহংকারী যে এই গানটা যে ছেলেটা লিখেছিল, সেও দিদির হাত ধরে তৃণমূলে চলে আসে।’
সম্প্রতি আগরতলায় তৃণমূলের সভায় প্রচার করতে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়। ঠিক তখনই রাস্তায় মাইক বাজিয়ে এগিয়ে যায় একটি ম্যাটাডোর। ম্যাটাডোর যে গানটি বাজছিল, সেটা বাবুলেরই গাওয়া গান, ‘এই তৃণমূল আর না, আর না’। সভায় তখন বক্তব্য রাখছিলেন সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। গানটি শুনে ক্ষুব্ধ সায়নী মাইক্রোফোন তুলে দেন বাবুলের হাতে।
তখনই মাইক হাতে নিয়ে বাবুল জানান, ‘আমি যা করি, সেটা মন থেকে করি। আমি গানটা শুনছি না। তৃণমূলের জন্যও গান বানাব।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘বিজেপি নেতারা কতটা অহংকারী হলে, নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে কতটা দুর্ব্যবহার করলে, এই গানটা যে লিখেছিল, সেও আজ দল বদলে দিদির হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।’ বাবুলের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপিও। বিজেপির মতে, ‘বিজেপি যা খুশি গান বাজাতেই পারে। কিন্তু বাবুল যে নিজের গান শুনতে চাইছে না, সেটা হতাশাজনক।’
উল্লেথ্য, পুরভোটকে ঘিরে রীতিমতো উত্তপ্ত ত্রিপুরা। পুরভোটে প্রথমবার নির্বাচনী ময়দানে নেমে জোর কদমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। অন্যদিকে পুরভোটে ভালো ফল করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি শিবিরও। বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারাও আসছেন বিজেপির প্রচারে। বিজেপিকে জবাব দিতে নির্বাচনের ময়দানে তৃণমূল বাবুলকেও নামিয়েছে। এবার নির্বাচনের মুখে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলতে বাবুলের গাওয়া গানকেই হাতিয়ার করল বিজেপি শিবির।