লন্ডনে ব্যাক ওয়াক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর। সেই ভিডিয়ো ঘুরছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। বিদেশে গিয়ে মমতার এই ব্যাক ওয়াককে ঘিরে নানা চর্চা হচ্ছে। এবার সেই ভিডিয়োর সঙ্গেই অপর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে মূলত বোঝা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে কাজ না পেয়ে ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছেন অনেকেই। বাংলার প্রতি তাঁদের হতাশার কথা রয়েছে সেই ভিডিয়োতে। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
এক্স হ্যান্ডেলে দুটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সুকান্ত। একটি ভিডিয়োতে উলটো দিকে হাঁটছেন মমতা। সাধারণত মানুষ সামনের দিকেই হাঁটেন কিন্তু বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে বিদেশের মাটিতে উলটো দিকে হাঁটতে। এটা দেখে কিছুটা অবাক হয়েছেন অনেকেই।
এরপর অপর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সুকান্ত। সেখানে যাঁরা কথা বলছেন সেই পরিচয় ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে একজন বলছেন আমি মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছি। ৮-১০ বছর ধরে আছি।আসা যাওয়া করি। এক সপ্তাহ ধরে আসছি। পশ্চিমবাংলায় পয়সা পাই না। দিদি পয়সা দেয় না। মহারাষ্ট্রে ভালো পয়সা দেয় বলে এখানে কাজ করি।
সুকান্ত লিখেছেন,
'লন্ডনের রাজপথে 'ব্যাক-ওয়াক' করছেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়!
'ব্যাক-ওয়াক', বাংলা ভাষায় তর্জমা করলে যাকে বলে -- উল্টো হাঁটা। অবাক করা বিষয়, লন্ডনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শুধু উল্টো হাঁটছেন না, জনগণ বলছেন ২০১১ সালের পর থেকে তাঁর মতোই উল্টো দিকে হাঁটছে বাংলার অর্থনীতি, কর্মসংস্থান...
অথচ মুখ্যমন্ত্রী এবারেও দাবি করছেন যে তাঁর এই বিদেশ সফরের পরেই নাকি সুদূর বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসবে, পশ্চিমবঙ্গ বিদেশী বিনিয়োগের 'মরুদ্যান' হবে!
এবার দেখুন নিচের ছবিটিও। মুখ্যমন্ত্রী @MamataOfficial
যখন পশ্চিমবঙ্গের করদাতাদের অর্থে লন্ডনে শিল্পের সন্ধানে সফর করতে ব্যস্ত, তখন এই বাংলার অসহায় শ্রমিকরা ব্যস্ত কোনও মতে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে! বাংলায় কাজ নেই, তাই শিল্পের আগামী মরুদ্যান পশ্চিমবঙ্গকে ত্যাগ করে এ রাজ্যের হতদরিদ্র মানুষের উপার্জনের আশ্রয় এখন প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্রে। পেটের তাগিদে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিচয়ে বাঁচছেন দিদির রাজ্যের মানুষ!'
এদিকে বাংলায় কাজ না পেয়ে হাজার হাজার মানুষ ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছেন বলে বিভিন্ন মহলের তরফে দাবি করা হয়। তেমনই একটি ভিডিয়ো দেখিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সেটা দেখিয়েই খোঁচা দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।