বিসলেরির মতো ব্র্যান্ডেড জলের নামে সরবরাহ করা হচ্ছে নকল জল। এবার সবটা চোখে পড়ে গেল জেলার ম্যাজিস্ট্রেটের। সঙ্গে সঙ্গেই নেওয়া হল কড়া পদক্ষেপ।
হরিয়ানা থেকে ইউপি পর্যন্ত নকল জলের ব্যবসার খেলা ফাঁস। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার ডিএম জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং এবং এসপি অর্পিত বিজয়বর্গীয় ইউপি-হরিয়ানা সীমান্তে অবস্থিত নিওয়াদা ফাঁড়িতে পৌঁছেছিলেন। এরপর একজন পুলিশ সদস্য এসে টেবিলের উপর একটি ৫০০ মিলিলিটারের জলের বোতল রাখেন। তখন ডিএম দেখলেন তাতে বিসলেরির নাম লেখা ছিল। কিন্তু বোতলে খাদ্য সুরক্ষা সফতরের লাইসেন্স নম্বর উল্লেখ ছিল না। এইভাবে জল যে নকল তা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি তাঁর।
আরও পড়ুন: (মহম্মদ ইউনুসের মন্তব্যের তুমুল সমালোচনার জের, বরখাস্ত বাংলাদেশের ম্যাজিস্ট্রেট)
ডিএম অবিলম্বে সহকারী খাদ্য কমিশনার মানবেন্দ্র সিংকে ডাকেন। যে দোকান থেকে জলের বোতল কেনা হয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে গৌরীপুর গ্রামের সেই দোকানে অভিযান চালানো হয়। দোকান থেকে জানা যায় গৌরীপুর জওহর নগরের গজ সিংয়ের ছেলে ভীম সিং জেলার অন্যান্য দোকানে জলের বোতল সরবরাহ করেন। এমনকি জল সরবরাহের লাইসেন্সও পাননি।
এরপর তাঁর বাড়িতে তল্লাশির সময় একটি গুদামঘর থেকে ২৬৬৩ জাল জলের বোতল পাওয়া যায়, যা তৎক্ষণাৎ বাজেয়াপ্ত করে পাশের মাঠে নিয়ে বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়। এরপর জলের নমুনা নিয়ে লখনউয়ের সরকারি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সহকারী খাদ্য কমিশনার জানান, গুদামের লাইসেন্স না থাকলে তাদের চালান করে আদালতে মামলা করা হবে। গুদামটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হরিয়ানা থেকে নকল জলের বোতল এনে বিক্রি করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: (Haryana Vote Counting 2024: ভোটের রেজাল্ট আপডেট করছে না কমিশন, পিছিয়ে পড়তেই দাবি কংগ্রেসের, হাসছে বিজেপি!)
এর আগেও ডিএম জাল জলের বোতল দেখতে পেয়েছিলেন
ডিএম ৮ সেপ্টেম্বর বিকাশ ভবনে পুষ্টি কমিটির একটি সভা করছিলেন, এদিনও তিনি একটি জলের বোতল দেখতে পান যা দেখতে ছিল বিসলেরির মতোই, কিন্তু বিলসেরি ছিল না। এই বোতলেও লাইসেন্স নম্বর না পেয়ে, সিনাউলী গ্রামের অভি বেভারেজ নামের একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে চার হাজার নকল বোতল বাজেয়াপ্ত করে নষ্ট করা হয়। এরপরও বন্ধ করা যাচ্ছে না নকল জল বিক্রি।