বেঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি তরুণীর ধর্ষণ মামলায় ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল একটি বিশেষ আদালত। গত বছরের মে মাসের ২৭ তারিখের ঘটনায় মোট ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। এর মধ্যে তিনজন মহিলাও রয়েছে। ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ। তবে তার মধ্যে একজন রাজ সাক্ষী হয়ে যায়। এর জেরে তাকে সাজা দেয়নি আদালত।
শহরের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তা জানান, মামলায় সাত আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, একজন মহিলাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং একজন পুরুষকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর দুই মহিলা অভিযুক্তকে নয় মাসের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে।
ঘটনার ২৭ দিনের মধ্যে মামলার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ এবং এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হয়। এর আগে গত বছরের ৮ জুন এক বাংলাদেশি তরুণীকে গণধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল বেঙ্গালুরুর পুলিশ। ১২ আসামীর মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশি এবং দুজন নারী।
সবুজ শেখ ও রফিক ওরফে রাফসান এই মামলায় প্রধান আসামী। চার্জশিট অনুযায়ী, তাদের সহযোগী হৃদয় বাবু, রকিবুল ইসলাম সাগর, মহম্মদ বাবু শেখ, হাকিল, আজিম, জামাল, ডালিম, নুসরত, কাজল ও তানিয়াকে আসামী করা হয় এই মামলায়। গণধর্ষণ ও নির্যাতনের পর সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। সেখানে দেখা যায়, তরুণীর যৌনাঙ্গে একটি বোতল ঢোকানে হচ্ছে। প্রথমে অসম পুলিশের নজরে বিষয়টি এসেছিল। তারা বিষয়টি বেঙ্গালুরু পুলিশকে জানালে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। পরে বাংলাদেশি পুলিশও দোষীদের শনাক্ত করতে সাহায্য করে বেঙ্গালুরু পুলিশকে। মামলা চলাকালীন মোট ৪৪ জন সাক্ষী আদালতে নিজেদের বয়ান দেন।