এক লাখ টাকা ঢেলেছেন আপনি। ১২ বছর তা ৩.৫ কোটি টাকায় পরিণত হতে পারে। তাও কিনা শুধুমাত্র শেয়ারের দাম থেকেই সেই আয় হবে। শেয়ার বাজারে বাজাজ ফিনান্সের পরিসংখ্যান ও ইতিহাস খতিয়ে দেখে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমনিতে করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের সময় ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছিল ভারতের শেয়ার বাজার। সেই প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে গত বছরের জুলাই থেকে আবারও বাজার চাঙ্গা হতে থাকে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পুষিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি নয়া শিখরেও উঠেছিল শেয়ার বাজার। তবে কয়েকটি সংস্থা এমন আছে, যেগুলি বরাবরই শেয়ার বাজারের প্রিয় হয়ে থেকেছে। তেমনই একটি সংস্থা হল বাজাজ ফিনান্স। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেয়ার বাজারে একটা সময় বাজাজ ফিনান্সের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৭.৬৪ টাকা। যা এখন বেড়ে হয়েছে ৬,১৭৭.০৫ টাকা। অর্থাৎ গত ১২ বছরে ৩৪৯ শতাংশ দামী হয়েছে বাজাজ ফিনান্সের শেয়ার।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার সময় ২০০২ সালের ৫ জুলাই বাজাজ ফিনান্সের প্রতিটি শেয়ারের দম ছিল ৫.৭৫ টাকা। ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ৪৫ টাকার স্তরে ছিল। বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ার পর আরও বাড়তে থাকে বাজাজ ফিনান্সের বহর। যে ধারা অব্যাহত হয়েছে। তার ফলে গত ১২ বছরে বাজাজ ফিনান্সের শেয়ারের দাম প্রায় ৩৫০ গুণ বেড়েছে। গত পাঁচ বছরের বাজাজ ফিনান্সের শেয়ারে ৪৯৫ শতাংশ টাকা পাওয়া গিয়েছে। গত এক বছরে তা দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশে। শেষ ছ'মাসে ২৫ শতাংশের বেশি টাকা ফেরত পাওয়া গিয়েছে।
সেই পরিসংখ্যান থেকেই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যদি কেউ ছ'মাস আগে বাজাজ ফিনান্সে এক লাখ টাকা ঢালেন এবং পুরো সময় চালিয়ে যান, তাহলে ছ'মাসে তা বেড়ে দাঁড়াবে ১.২৫ লাখ টাকা। একইভাবে কেউ যদি এক বছর আগে ১ লাখ টাকা দেন, তা এখন ১.৯৫ টাকার মতো হবে। আর কোনও লগ্নিকারী যদি ২০০৯ সালে সেই পরিমাণ টাকা দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই অঙ্কটা হবে ৩.৫ কোটি টাকা। কারণ সেই সময় বাজার ফিনান্সের শেয়ার ৩৫০ গুণ মূল্যবান হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এটা তো শুধুমাত্র শেয়ারের দাম থেকে মিলবে। সেইসঙ্গে শেয়ার ডিভিডেন্ডও আছে।