এক মুসলিম যুবকের টি-শার্টে লেখা ছিল জয় শ্রী রাম। আর সেই টি-শার্ট পরার জন্য বিপাকে পড়লেন ওই মুসলিম যুবক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল বজরং দল। তাদের অভিযোগ, পরিচয় গোপন করার উদ্দেশ্যে জয় শ্রী রাম লেখা টি-শার্ট পরেছিলেন ওই যুবক। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের গুজাইনি এলাকার। জানা গিয়েছে, এলাকায় ওই যুবক একটি খাবারের দোকানে কাজ করেন। সেখানে, তার তৈরি ভেজ কাবাবের স্বাদ নিয়ে সন্দেহ হতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করে বজরং দল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
আরও পড়ুন: ‘সাভারকর গোমাংস খেতেন’ মন্তব্যে কর্ণাটকের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় বজরং দল
পুলিশ জানিয়েছে, দু'জন বজরং দলের সদস্য খাবার খেতে এলাকায় বাউয়া সবিতার মালিকানাধীন একটি খাবারের দোকানে ঢোকে । সেখানে তারা ভেজ কাবাব অর্ডার করে। এরপর তাদের ভেজ কাবাব পরিদর্শন করা হয়। তবে ভেজ কাবাবে আলাদা স্বাদ পাওয়ায় তারা যুবকের কাছে তার পরিচয় জানতে চায়। এরপরই সমস্যার সূত্রপাত হয়। যুবকের কথা বার্তায় তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান। অভিযোগ ছিল, ওই যুবক একজন মুসলিম। নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য জয় শ্রীরাম লেখা টি শার্ট পরেছিলেন। এরপর পুলিশ সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাতে বজরং দলের সন্দেহ সত্যি হয়। ওই যুবক নিজেকে মহম্মদ কাল্লু বলে পরিচয় দেন। তবে অভিযোগ, ওই দোকানের মালিক বা অন্যান্য কর্মীরা তার আসল পরিচয় জানতেন না। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
বজরং দলের কর্মী বিকাশ শুক্লা বলেন, ‘আমাদের দুজন সদস্য শহরের গুজাইনি এলাকায় রামগোপাল ক্রসিংয়ের কাছে একটি স্টলে ভেজ কাবাব-পরাঠা খেতে গিয়েছিলেন। তারা খাবারে ভিন্ন স্বাদ পেয়ে সন্দেহ করেন ওই যুবক নিজের পরিচয় গোপন করছেন। তা থেকে সন্দেহের বশে জয় শ্রী রাম লেখা টি-শার্ট পরা যুবকের নাম জিজ্ঞাসা করলে তিনি দ্বিধায় পড়ে যান। অন্য সদস্যদের এবং পুলিশকে তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই যুবক মহম্মদ কাল্লু নামে নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন। এতে মালিক ও কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।গুজাইনি থানার ইনচার্জ বিনয় তিওয়ারি বলেন, মহম্মদ কাল্লু বাউয়া সবিতার খাবারের দোকানের একজন কর্মচারী। বজরং দলের কর্মীরা পরিচয় গোপনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রমাণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।