বকরি ইদ বা ইদ-উল-অজহা ত্যাগ ও বলিদানের উৎসব। এ বছর ১ অগস্ট এই উৎসব পালিত হবে। বকরি ইদ মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। ইদ-উল-ফিতর যেমন পবিত্র রমজান মাসের শেষে পালিত হয়, ইদ-উল-অজহা বা বকরি ইদ তেমনই ইসলামিক ক্যালেন্ডারের শেষ মাস ধু অল-হিজাহয়ে পালিত হয়। এই মাসেই হজ যাত্রা হয়। ধু অল-হিজাহর আক্ষরিক অর্থ তীর্যযাত্রার মাস। এই মাসেই মক্কায় তীর্থযাত্রীদের সমাগম হয়। ইদ-উল-জুহার চাঁদ যে দিন দেখা যায়, তার দশম দিনে বকরি ইদ পালিত হয়।
আল্লাহের প্রতি হজরত ইব্রাহিমের ভক্তিকে স্মরণ করে এই উৎসব পালিত হয়। ব্যক্তির সেবা ও আল্লাহের উপাসনায় দিন কাটাতেন ইব্রাহিম। ৯০ বছর বয়সে তাঁর একটি সন্তান হয়, তাঁর নাম রাখেন ইসমাইল। আল্লাহের কাছ থেকে স্বপ্নাদেশ পেয়ে হজরত ইব্রাহিম নিজের প্রিয় বস্তুর কুর্বানী দেওয়া শুরু করেন। পরবর্তী স্বপ্নাদেশে আল্লাহ তাঁকে ইসমাইলের কুরবানি দিতে বলেন। সেই আদেশ পালনে প্রস্তুত হন ইব্রাহিম। নিজের ছেলেকে কুরবান করতে উদ্ধত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বরের দূত জিব্রিল ইসমাইলের স্থানে একটি দুম্বা রেখে দেন। জিব্রিল ইব্রাহিমকে জানান, তাঁর ভক্তি দেখে আল্লাহ খুশি হয়েছেন এবং সেই জন্য ইসমাইলের পরিবর্তে দুম্বাটিকে কুরবান করার আদেশ দিয়েছেন। তখন থেকেই কুরবানির প্রথা শুরু হয়।
বকরি ইদ মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা মসজিদে অল-সুবাহের নমাজ পড়েন। এর পর ভেড়ার কুরবানি দেওয়া হয়। কুরবানি গোস্ত তিনটি অংশে বিতরণ করা হয়। একটি অংশ গরিবদের, দ্বিতীয় আত্মীয়-বন্ধুদের এবং তৃতীয় নিজেদের জন্য রাখা হয়।
বকরি ইদের কয়েকটি শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া রইল এখানে—
- ইদ উপলক্ষে তোমাকে এবং তোমার পরিবারকে জানাই স্বাস্থ্য, সম্পদ ও উন্নতির শুভকামনা। আল্লাহ সর্বদা দয়া বর্ষণ করুক। ইদ মোবারক।
- আল্লাহ তোমার পরিবারকে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রদান করুক। ইদ মোবারক।
- তোমার জীবন সবসময় আনন্দে ভরা থাকুক। আল্লাহ তোমাকে নিরাপদে রাখুক, এই কামনা করি। ইদ মোবারক।
- ইদ অল-অজাহ মোবারক। আজ ও অনন্তকালের জন্য আশা, ভালোবাসা ও আনন্দ তোমার সঙ্গী হয়ে থাকুক।