বালোচিস্তানে একাধিক রাস্তা নাকি 'ব্লক' করে দিয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কোয়েটা থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন বড় বড় শহরকে সংযুক্ত করা রাস্তা এবং মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে বালোচ বিদ্রোহীরাই এই কাজ করেছে। এই সব 'ব্লক' রাস্তার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, মুখ ঢাকা বন্দুকবাজের পিঠে রয়েছে বালোচিস্তানের পতাকা। (আরও পড়ুন: RAW-কে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো USCIRF-কে তুলোধোনা ভারতের, প্রশ্ন প্যাটার্ন নিয়ে)
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু খলিস্তানি জঙ্গি নেতা মহল সিং বব্বরের
জানা গিয়েছে, কোয়েটা-তাফতান আরসিডি হাইওয়ে ব্ল ককরা হয়েছে নোশকিতে। সেখানে বালোচ বিদ্রোহীরা চেকপোস্ট তৈরি করেছে। এছাড়া কোয়েটা-করাচি, সিব্বি-কোয়েটা এবং মাকরান উপকূলীয় হাইওয়ে বন্ধ করেছে বিদ্রোহীরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক সেনার ওপর হামলা হয়েছে মন্দ, সামি, দশ্ত, সিব্বি, তুরবত, বোলন, মাস্টাঙ, গোয়াদার, খরান সহ আরও বহু জায়গায়। দাবি করা হচ্ছে, ২ ঘণ্টার ব্যবধানে মোট ১৭টি হামলা চালায় বালোচ বিদ্রোহীরা। (আরও পড়ুন: 'ভারত-চিন সম্পর্কে ইস্যু থাকবে ভবিষ্যতেও, তবে...', অকপট জয়শংকর)
আরও পড়ুন: শুল্ক ইস্যুতে চিন-কানাডার সঙ্গে একসারিতে ভারতকে রাখবে না আমেরিকা, দাবি রিপোর্টে
এদিকে দাবি করা হচ্ছে, বালোচ বিদ্রোহীদের সঙ্গে গুলির লড়াইতে সন্ত্রাস দমন শাখার এক সাব ইন্সপেক্টর প্রাণ হারিয়েছেন মাস্টাঙে। এর আগে কালাতেও এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যুর খবর সামনে আসে। এদিকে গোয়াদারের ওমরারাতেও নাকি বালোচ বিদ্রোহীদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। বিদ্রোহীরা দাবি করছে বেশ কিছু জনপদ নাকি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বালোচ লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান সেনার ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। বোলান অঞ্চলে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ হোক কি পুলওয়ামা স্টাইলে পাক সেনার বাসে বিস্ফোরণ ঘটানো, বিএলএ চোখে চোখ রেখে পাক সেনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যাচ্ছে। এদিকে গত ২১ মার্চ কোয়েটায় পাক সেনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল বালোচ ইয়াকজেহতি কমিটি। সেই প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে নাকি সাধারণ মানুষের ওপরে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে বালোচ পুলিশ। সেই হামলায় একাধিক বালোচের মৃত্যু হয়। প্রাণ হারায় নাবালকরাও। একাধিক শিশু সহ অন্তত পাঁচজন আন্দোলনকারীকে কোয়েটার রাস্তায় খুন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এদিকে নোবল শান্তি পুরস্কারের জন্যে মনোনীত মাহরাং বালোচকে পুলিশ গ্রেফতার করে। রাষ্ট্রসংঘের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, মহরাং বালোচ সহ যে সকল আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তদর মুক্তি দেওয়া হোক।