আবাসনে নিজেদের পছন্দ মতো পোষ্য রাখার বিষয়টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা বেআইনী ও অসাংবিধানিক। কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি জয়শঙ্কর নাম্বিয়ার, পি গোপীনাথের ডিভিশন বেঞ্চ পিপল ফর অ্য়ানিমালের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ রায় দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে এই ধরনের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অসাংবিধানিক ও বেআইনী। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে আমাদের উপকূলবর্তী রাজ্য যেটিকে ভগবানের নিজের দেশ বলা হয় সেখানে এই ধরনের পোষ্য রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা উচিৎ নয়। এর সঙ্গেই আদালত একমত যে, কোথাও আবাসনে পোষ্য রাখা নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে তা বৈধ নয়। রেসিডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটি বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে উল্লেখ করবে কোনও পোষা জন্তু আবাসনে ঢুকতে দেওয়া হবে না, এটা ঠিক নয়। এসব থেকে বিরত থাকা দরকার।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, অন্যান্য জীবেরও মানুষের বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে থাকার অধিকার রয়েছে। তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন এটা সভ্যতারই লক্ষণ। আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে সেটিতে বজায় রাখা দরকার। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, পশুদের বাসস্থানের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখা সরকারের কর্তব্য। এটা সম্পর্কে ছাত্রজীবন থেকে সচেতন করা দরকার। সেকারণে স্কুলস্তরে সচেতনতামূলক কর্মসূচি করা যেতে পারে। তবে রাজ্যও এক্ষেত্রে একমত, যে কোনও পোষা জীবজন্তুকে আবাসনে ঢুকতে দেওয়া হবে না এই ধরনের মনোভাব পোষন করা ঠিক নয়। আসলে PFA'র তরফে জানানো হয়েছিল বহু আবাসন থেকে অভিযোগ আসছিল যে পোষা জীবজন্তুদের আবাসন চত্বরে ঢুকতে না দেওয়ার ফরমান জারি করা হচ্ছে। তবে আবাসনের সংস্থা তাদের নিজেদের মতো করে এনিয়ে আইন বানাতে পারে না।