সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ।দেশজুড়ে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া(PFI)। সম্প্রতি দেশজুড়ে পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে শুরু হয় এনআইএ অভিযান। তার পালটা হিসাবে রাস্তায় নামে পিএফআই। ছড়ায় হিংসা। এবার দেখা যাক কীভাবে সামনে এসেছিল এই পিএফআই? অতীতটা ঠিক কী?
১৯৯৩ সাল- বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে চরমপন্থী মুসলিম গ্রুপ তৈরি হয়েছিল কেরলে। নাম দেওয়া হয়েছিল ন্যাশানাল ডেমক্রেটিক ফ্রন্ট। এর পরপরই কর্ণাটকে তৈরি হয়েছিল কর্ণাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি, তামিলনাড়ুতে তৈরি হয়েছিল মানিথা নীতি পসারি।
১৯৯৭ সাল- উত্তরপ্রদেশের আলিগ়ড়ে তৈরি হল স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া।
২০০১ সাল- দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য সিমিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
২০০৪ সাল- NDF, KFD, MNF সব একছাতার তলায় চলে এল। তৈরি হল সাউথ ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর ইউনাইটেড অ্যাকশন ইন সাউথ স্টেটস।
২০০৬ সাল- ৯ ডিসেম্বর সাউথ ইন্ডিয়া কাউন্সিলই কার্যত হয়ে গেল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। আর প্রাক্তন সিমি সদস্যরা যারা এতদিন স্লিপিং সেলে ছিলেন তাদের একাংশ এই নয়া ছাতার তলায় চলে এসেছিলেন বলে মনে করা হয়। এনডিএফের পোশাক, মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণও শুরু হয়ে গেল ক্যাডারদের মধ্যে।
২০০৯ সাল- পিএফআই এবার তাদের রাজনৈতিক শাখাকে সামনে আনল। নাম দেওয়া হল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া(SDPI)।
২০১৫ সাল- ১৩জন পিএফআই কর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল যোশেফ মামলায়।
২০১৭ সাল- কেরল সরকার হাইকোর্টে জানিয়েছিল পিএফআই ১০৬টি ক্রিমিনাল কেসে যুক্ত। তার মধ্যে ২৭টি খুনের মামলা রয়েছে। সিপিএম ও আরএসএসকে টার্গেট করেছে তারা।
২০১৮ সাল- মহিলা ও শিশু সহ অন্তত ২২জন কেরল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল। পরে অনুমান করা হয় তারা আফগানিস্তানে গিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন পিএফআই সমর্থকও ছিলেন বলে দাবি করা হয়।
২০১৯ সাল- পিএফআই কেরল থেকে তাদের সদর দফতর সরিয়ে নিল দিল্লিতে।
২০২২ সাল- দেখা গেল ১৭টি রাজ্যে পিএফআইয়ের প্রভাব।
পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কীভাবে পদক্ষেপ নিল সরকার?
২৯ অগস্ট- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এজেন্সিদের নিয়ে বৈঠক করেন।
২২ সেপ্টেম্বর- দেশ জুড়ে পিএফআই অফিসে হানা দিল এনআইএ। ১০৬জন পিএফআই নেতাকে গ্রেফতার করা হল।
২৭ সেপ্টেম্বর- ফের দেশজুড়ে শুরু হল পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান। আটক করা হয় ১৭০জনকে।