তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন এনডিএ জোটের ৭১ জন মন্ত্রী। তবে এমন অনেক মন্ত্রী রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর ফৌজদারী মামলা রয়েছে। এই সমস্ত মন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফৌজদারী মামলা রয়েছে বান্দি সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে। তেলাঙ্গানার করিমনগর আসন থেকে তিনি জয়ী হয়েছেন। এবার তাঁকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করেছে কেন্দ্র সরকার।
আরও পড়ুন: এবারও পূর্ণ মন্ত্রিত্ব পেল না বাংলা, মোদী সরকারে মন্ত্রী হলেন কারা? রইল তালিকা
অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিভ রিফর্মসের (এডিআর) তথ্য অনুযায়ী, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মোট ৪২ টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, অপহরণ থেকে শুরু করে রয়েছে খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ।
এডিআরের তথ্য বলছে, ৭১ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মধ্যে ২৮ জন অর্থাৎ ৩৯ শতাংশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে মামলা রয়েছে। লোকসভার আগে নির্বাচনী হলফনামায় তারা সেই সংক্রান্ত তথ্য পেশ করেছিলেন। এর মধ্যে ১৯ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন সঞ্জয়। খুনের চেষ্টা ও অপহরণের মতো মামলা রয়েছে সঞ্জয় সহ পাঁচ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এছাড়া নারী নির্যাতন ও বিদ্বেষ মূলক মন্তব্যের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে রয়েছে ৮ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ মামলা দায়ের হয়েছে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে।
শুধু সঞ্জয়ই নন, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বাংলার দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত জুমদার এবং শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধেও। অন্যদিকে, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধেও। সেই তালিকায় সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুরও রয়েছেন। এছাড়াও নাম আছে শোভা করন্দলাজে, ধর্মেন্দ্র প্রধান, গিরিরাজ সিং, নিত্যানন্দ রাই প্রমুখ মন্ত্রীর।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা ও ৩৭টি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তিনি এবার আগের মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। অন্যদিকে, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে ৩০টি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, ১৬টি মামলা রয়েছে সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে।