একমাস আগেই নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও। এবার নয়াদিল্লিতে প্রবাসী বাঙালিদের জন্য সুখবর ভেসে এলো। এই প্রথম নয়াদিল্লির বুকে বাংলা অ্যাকাডেমি গড়ার প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিল অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। সেই কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন নয়াদিল্লির ‘বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের’ সাধারণ সম্পাদক তপন সেনগুপ্ত। নয়াদিল্লি সরকারের কাছে অ্যাকাডেমি গড়া নিয়ে দরবার করেছেন দিল্লির প্রবাসী বাঙালিরা। অবশেষে সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ৩৩ লাখ বাঙালির বসবাস নয়াদিল্লিতে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ। কিন্তু মমতা–কেজরিওয়াল কথা হওয়ার পর দরজা খুলে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতার পরে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাঙালিরা থাকেন রাজধানীতেই।
তাছাড়া সাহিত্য, সংস্কৃতি থেকে কৃষ্টি, ঐতিহ্যতেও কলকাতাবাসীর চেয়ে কোনও অংশে কম যান না এই প্রবাসী বাঙালিরা। এমনকী নয়াদিল্লিতে বাংলা স্কুলের সংখ্যা প্রায় ১২, বাঙালি পরিচালিত মন্দির রয়েছে প্রায় ২৫টি, বাংলা নাট্য সংস্থার সংখ্যা প্রায় ৩০ এবং বাংলা সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে ৩০টি। আর রাজধানীতে আয়োজিত হয় পাঁচশোরও বেশি বারোয়ারি দুর্গাপুজো।
উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের হাতেই নয়াদিল্লিতে বেঙ্গল অ্যাসেসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর থেকে একাধিকবার বাংলা অ্যাকাডেমি গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। অবশেষে সাফল্য মিলল। প্রবাসী বাঙালিদের আশা, নয়াদিল্লির বাংলা অ্যাকাডেমি ভবিষ্যতে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে বড় পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠবে।