কিছুদিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরে শিবরামপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে বিএসএফ। বিএসএফকে সেদিন বাধা দিতে এগিয়ে আসে বিজিবি। পরিস্থিতি ঘিরে উত্তাপ বাড়ে। এদিকে, সেই ঘটনার পর এবার বিজিবিকে ঢেলে সাজাতে তৎপর বাংলাদেশের ইউনুস সরকার। সদ্য বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, এবার বিজিবিকেও সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইউনুস সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,' আপনারা অনেকে জানেন, বিজিবি কেন টিয়ারশেল মারে নাই, কেন তারা সাউন্ড গ্রেনেড মারে নাই, এগুলি তো বিজিবির কাছে নাই। বিজিবির কাছে তো সব প্রাণঘাতী অস্ত্র।' সীমান্ত পরিস্থিতির প্রসঙ্গ উঠতেই একথা বলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এজন্যই ওগুলো মারতে পারেনি বিজিবি।’ বাংলাদেশের উনুস সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন,'এজন্য আমরা তাদের অনুমতি দিয়ে দিয়েছি, তাড়াতাড়ি এই জিনিসগুলি ক্রয় করা হবে।' বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের উপদেষ্টা বলেন,'মরণঘাতী অস্ত্র তো ওদের (বিজিবির) কাছে আছে, কিন্তু এগুলো নেই, যেমন টিয়ারশেল, সঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড নেই, এগুলো কেনার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে.. আপনারা দেখেছেন চাপাইনডাঙ্গার ক্ষেত্রে এগুলি বিএসএফর কাছে আছে, কিন্তু আমাদের বিজিবির কাছে নাই।' কটাক্ষের মেজাজে তিনি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন,'ক্রয় করার অনুমতি দিয়েছি, ক্রয় করলে কি ব্যবহার করবে না? আপনি যখন বাজার করে নিয়ে আসেন, আপনি কি বলেন নাকি যে রান্নার করার অনুমদি দিই..?'
এছাড়াও বাংলাদেশে বসবাসকারী অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের সংখ্যা নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের উপদেষ্টা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ৩৩ হাজার ৬৪৮ বিদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তিনি জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই অবৈধভাবে বসবাসরতদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে বৈধ হতে হবে। আর তা না হলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে, এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই তিনি পুলিশ, ব়্যাব, আনসারের পোশাক রদবদল সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ খোলেন। শেখ হাসিনা গদিচ্যুত হতেই, বাংলাদেশে এই তিন বাহিনীর পোশাকে পরিবর্তন আনছে ইউনুস সরকার। এদিন সেই নতুন পোশাকও তুলে ধরে ঢাকা।