ত্রিপুরা সীমান্তে জিরো পয়েন্টের চুক্তি ভঙ্গ করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ভারতের জমির গা ঘেঁষে রাস্তা তৈরি করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এমনকী সেই রাস্তা একেবারে গাড়ি চলার উপযোগী করে ফেলেছে বলেও দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু বাংলাদেশ কেন বার বার এভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে ভারত যখন খোলা সীমান্তে বেড়া দিতে যাচ্ছে তখন বিজিবি ও সেই দেশের সীমান্তের বাসিন্দারা নানা আপত্তি তুলতে শুরু করছে। অথচ ভারতের গা ঘেঁষে রাস্তা তৈরির সময় ওদের সেই সময় কথা মনে থাকছে না। এমনটাই দাবি অনেকের।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা কৈলাসহরের রাজনৈতিক নেতাদের দাবি বিএসএফ আপত্তি তোলার আগেই ওই রাস্তা তৈরির কাজ অনেকটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকী অন্য একটা অংশে নির্মাণকাজ হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, চুক্তির বিষয়টি না মেনেই জিরো পয়েন্টের দেড়শো গজের মধ্য়ে নদী বাঁধ উঁচু ও চওড়া করছে বাংলাদেশ। আসলে ওটা রাস্তারই নামান্তর। এর জেরে ওদের দেশের সেনা ও বিজিবির গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে সহজেই সীমান্তের কাছে চলে আসতে পারবে।
এদিকে ত্রিপুরার কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিত সিংহ সম্প্রতি বিধানসভা জানিয়েছিলেন, উনকোটি জেলার মনু নদীর ধারে বাংলাদেশের দিকে যে বাঁধ রয়েছে সেটা আরও চওড়া ও উঁচু করা হচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুধাংশু দাসও ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রীর এনিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কারণ এভাবে যদি বাংলাদেশ কাজ করে তবে আগামী বর্ষায় উনকোটির বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসতে পারে। তবে পরে বোঝা যায় আসলে বাঁধ নয়, ওখানে রাস্তা তৈরি করেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। একেবারে ভারত ঘেঁষে রাস্তা বানিয়েছে ওরা।
এদিকে এর আগে উনকোটি জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। গোটা বিষয়টি ওপরমহলে জানানো হবে বলেও তাঁরা জানিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, এপারের ত্রিপুরার উনকোটি জেলার দেবীপুর সীমান্ত। আর ওপারে বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার আলিনগর। স্থানীয়দের অভিযোগ কৈলাশহরের ওপারে জিরো পয়েন্টের গা ঘেঁষে প্রায় ১০ কিমি এলাকা জুড়ে বাঁধ উঁচু করছে ওরা। আসলে ওটা একরকম রাস্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন গোটা বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের সঙ্গেও কথা বলেছে। উনকোটির জেলাশাসক আগেই জানিয়েছিলেন, আমাদের মনে হয়েছে ওরা পুরনো নদী বাঁধ যেটা ছিল সেটা অনেকটা বাড়িয়েছে। উঁচু হওয়াতে আগামী দিনে জলটা আমাদের দিকে বেশি আসবে। ওখানে ওরা নাকি পিচ দিয়ে ঢালাই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।