ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় ক্রমশ প্রতিপত্তি বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে চিন। সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে খাতির পাতাতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা। সেজন্য দেশটিকে নানা প্রলোভন দিয়েছে চিনের শি জিনপিং প্রশাসন। তার পরই চিনকে তাদের দেশে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালানোর অনুমতি দিল হাসিনা সরকার।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, চিনকে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে মানে এই নয় যে ভারতকে দেওয়া হবে না। চিন আগে চেয়েছিল, তাই তাদের দেওয়া হয়েছে। ভারত চাইলে ভারতকেও দেওয়া হবে। যে আগে চেয়েছিল তাকে আগে দেওয়া হয়েছে।
চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক গাঢ়ত্ব বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে হঠাৎই ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বছর কয়েক আগেও বাংলাদেশে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। তিনি হাসিনা সরকারকে আশ্বস্ত করে বলেন, করোনা ভ্যাকসিন তৈরি হলে বন্ধুরাষ্ট্রগুলিতে তা বিতরণ করবে ভারত। আর সেই তালিকায় সব থেকে উপর দিকে রয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারতে বিজেপি সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ালে পরবর্তীকালে হাসিনাকে ভোটে তার ফল ভুগতে হতে পারে বলে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ভারতের বিকল্প হিসাবে চিনের দিকে হাত বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ।