দুই দেশের সম্পর্ক ভাল। এমনকী দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কও যথেষ্ট দৃঢ়। তারপরও হয়েছিল বিক্ষোভ। আর সেদিনের বিক্ষোভের সাজা এল এবার। বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখন পদ্মাপারের বিভিন্ন জায়গায় মোদী বিরোধী বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। আর এবার তার মূলচক্রী হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করল ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। রবিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ–কমিশনার (ডিসি) হারুন–অর–রশিদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিভিন্ন নাশকতার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই গ্রেফতার একটা বার্তাও দিল। সেটা হল–ভারতের পাশেই আছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ। তাই সাংবাদিক বৈঠকে ডিসি হারুন–অর–রশিদ বলেন, ‘২০২০ সালে মহম্মদপুর থানায় হামলা এবং নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় মামুনুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে ওই মামলার মূল আসামী। আমরা মামলাটি তদন্ত করছিলাম। যথাযথ প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ মামুনুলের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা, থানায় হামলা, ভাঙচুর–সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। মামুনুলকে সোমবার আদালতে তুলে রিমান্ডে চাওয়া হবে।
গত মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলামি ঢাকা, চট্টগ্রাম–সহ বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়ায়। তার জেরে ১৮ জনের মৃ্ত্যু হয়েছিল। তখন থেকেই পুলিশের স্ক্যানারে ছিল মামুনুল। ঢাকার অদূরে সোনারগাঁওয়ের একটি রিসর্টে এক যুবতী–সহ মামুনুল ধরা পড়ে। তখন ওই যুবতীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। পরে সেই যুবতী নিখোঁজ বলে তাঁর ছেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এই রিসর্ট–কাণ্ডে দু’টি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও একাধিক মামলা রয়েছে। অবশেষে রবিবার হেফাজতের এই নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২৬ ও ২৭ মার্চ সফরের আগে পড়ে হিংসা, বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল সে বলে অভিযোগ রয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই এই গ্রেফতার।