বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অব্যাহত অত্যাচারের মাঝেই দফায় দফায় একাধিক বৈঠক করছেন বাংলাদেশের সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। এদিকে, আজই ঢাকায় পা রেখেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রী। আর এই দিনে বিদেশ সচিব পর্যায়ে যখন ঢাকায় হাইভোল্টেজ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে দুই দেশ, তখন একই শহরে ইউরেপিয়ান ইউনিয়ানের সদস্যদের সঙ্গে আরও এক তাবড় বৈঠকে বসেন মহম্মদ ইউনুস।
এদিন ঢাকায়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ১৯ জন সদস্যের উপস্থিতির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন মাইকেল মিলার। তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ‘হেড অফ ডেলিগেশন’ হিসাবে সেখানে উপস্থিত হন। ঢাকার তেজগাঁওতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইউনুস। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বৈঠকে ১৫ জন সদস্য তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। টানা আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে শ্রম অধিকার থেকে বাণিজ্যের সুবিধা সহ নানান বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় ছিল মানবাধিকার প্রসঙ্গ। বাংলাদেশে বর্তমানে সংখ্যালঘু অত্যাচারের প্রেক্ষিতে এই আলোচনা বেশ প্রাসঙ্গিকতা পায়। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইবুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন, টেকসই ভবিষ্যৎ সহ নানান ইস্যু এই আলোচনায় আসে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সময়, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ওই প্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ জানান, যাতে ইউরোপের দেশগুলির ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে তা ঢাকায় আনা হয় বা অন্যান্য প্রতিবেশি দেশে করা হয়। উল্লখ্য, ভারত, বাংলাদেশিজের জন্য ভিসা নীতি সীমিত করায় অনেক শিক্ষার্থী দিল্লি গিয়ে ভিসা নিতে পারছেন না। ফলে ইউরোপগামী বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একটা বড় অসুবিধা হয়ে গিয়েছে ইউরোপের বহু দেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে। ঢাকার দাবি, ওই দেশগুলির ভিসা অফিস যদি ঢাকা কিম্বা অন্যান্য প্রতিবেশ দেশে হয়,তাহলে সুবিধা হবে। সেই সুবিধা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরও যেমন হবে, তেমনই তা হবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নেরও। বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বুলগেরিয়া বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েৎনামে স্থানান্তরিত করেছে। ইউরোপের বাকি বহু দেশগুলিও যাতে সেই পন্থার রাস্তা নেয়, তার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।