দ্রুতই চালু হবে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মেগা প্রকল্প ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’। ইতোমধ্যেই ৩৫ নম্বর থেকে ৫০ নম্বর পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আর এই পিলারের উপর ১০টি স্প্যান এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এ সেতুর কাজ ইতোমধ্যে ৫৩ ভাগ শেষ হয়েছে। আর ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে নির্মাণ কাজের নির্দিষ্ট সময় দেয়া থাকলেও সেই সময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো: মাসুদুর রহমান।
রেলসেতুটি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের দ্রুত যোগাযোগসহ খুলবে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার। সেতুর কাজের অগ্রগতি দেখতে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা আর শীতকে উপেক্ষা করেই এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ। যমুনা নদীর বুকে রেলওয়ে সেতু এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। জাপান এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সহস্রাধিক দেশি-বিদেশি প্রকোশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের দিন-রাত নিরলস পরিশ্রমে এগিয়ে চলছে নির্মাণযজ্ঞ।
ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই সেতুতে ভিয়েতনাম থেকে তৈরিকৃত ১০টি স্প্যান বসানো হয়েছে এখন পর্যন্ত। সেতুটি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা হবে। এছাড়া দেশের এমন মেগা প্রকল্পে কোয়ালিটি ও নিরাপত্তার মাঝে কাজ করতে পেরে খুশি এখানকার কর্মীরা।
দেশি-বিদেশি প্রকোশলীদের তত্ত্ববধানে কাজের গুণগতমান ঠিক রেখে কাজ করা হচ্ছে বলে জানালেন সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো: সালেক। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর। সেতুটি চালু হলে ডাবল লাইনে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি চ্যানেল আই থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)