বাংলাদেশের ভারত বিরোধিতার সুর ক্রমেই চড়ছে। এবার সেই প্রেক্ষাপটে ‘ললিপপ’ মন্তব্যের পাল্টা হিসাবে এল ‘আমলকি’ প্রসঙ্গ! পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই বিধানসভায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, কেউ যদি কলকাতা বা বাংলা দখল করতে আসে, তাহলে রাজ্য সরকার মোটেও চুপচাপ বসে ললিপপ খাবে না। এই মন্তব্যের পরদিনই বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল রিজভি বলছেন, যদি কেউ যদি চট্টোগ্রামের দিকে তাকান, তাহলে ‘আমরা কি আমলকি চুষব?’
‘ আমরা কি আমলকি মুখে চুষব? তাতো আমরা চুষব না!’
সদ্য বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে একের পর এক সভায় কখনও ভারতীয় শাড়ি কখনও ভারতীয় বেডকভার পুড়িয়েছেন বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল রিজভি। এদিকে, সভা থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সরব হন। রিজভি বলছেন,'পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী নাকি গোসসা হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন, বলছেন যদি আসে বাংলাদেশ থেকে উড়িষ্যা, বিহার এগুলো দখল করতে, তাহলে আমরা কি ললিপপ খাব? আমিও বলে রাখি, আপনারা যদি চট্টগ্রামের দিকে তাকান, দাবি করেন, আমরা কি আমলকি মুখে চুষব? তাতো আমরা চুষব না!' মমতার বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওই বিএনপি নেতা বলেন,' আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমরা আপনাকে জানতাম ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ, অসম্প্রদায়িক মানুষ। কিন্তু আপনাদের অত্যন্ত গভীরে যে কট্টর হিন্দুত্ববাদী লুকিয়ে থাকে, সেটা দেখলাম।'
কলকাতা দখল ইস্যু!
'চারদিনের মধ্যে আমরা কলকাতা দখল করে নেব', 'ভারত তো দূরের কথা, আমেরিকাও আমাদের সঙ্গে টিকবে না'- এমনই উদ্ভট মন্তব্য এসেছে বাংলাদেশ থেকে। সদ্য নিজেকে সেদেশের প্রাক্তন সেনা সদস্য বলে দাবি করা এক ব্যক্তি বলেছেন, তাঁরা কলকাতা দখল করবেন। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই প্রসঙ্গেই বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সাফ বার্তায় বলেন,' আপনারা বলছেন যে আপনারা (বাংলা, বিহার, ওড়িশা) দখল করে নেবেন। সেই ক্ষমতা নেই আপনাদের। আর আমরা বসে-বসে ললিপপ খাব নাকি? সেটা মোটেও ভাববেন না। ভারতবর্ষ অখণ্ড।' এদিকে, মমতার এই মন্তব্য সহ্য হয়নি বাংলাদেশের বিএনপির রুহুল রিজভির। তিনি তার পাল্টা জবাবে বলছেন,' আমি বলেছিলাম, আপনারা যদি দাবি করেন, তাহলে আমাদের নবাবের যে অংশ বাংলা, বিহার, ওড়িশা সেটাও আমরা দাবি করব।' এর আগে তিনি অভিযোগের সুর চড়া করে ভারতের দিকে আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, আপনাদের দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেছেন,'এবার চট্টগ্রাম আমরা দাবি করব।’ রুহুল বলছেন,'আরে আপনাদের উদ্দেশ্য তো ভয়ঙ্কর খারাপ! আপনারা প্রথমে একথা বলেছেন, আপনাদের দায়িত্বশীল নেতা একথা বলেছেন। '